কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি: শীতলক্ষ্যা নদী ভাঙ্গন রোধ, সৌন্দর্য্য ও পরিবেশ রক্ষায় বালু বিক্রি বন্ধের দাবীতে
এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে।
মানববন্ধনে স্থানীয় বাসিন্দা,বাজার ব্যবসায়ী, মসজিদ কমিটির মুসুল্লি, ইউনিয়ন পরিষদের ও তফসিল অফিসসহ এলাকার দুই শতাধিক মানুষ অংশ গ্রহণ করেছে।
আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ টায় কাপাসিয়া উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে নদীর তীরে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
বক্তারা বলেন, শীতলক্ষ্যা নদীর কাপাসিয়ার শতবর্ষী ঐতিহাসিক ধাঁধার চর ও রানিগন্জ বাজারসহ আশপাশের এলাকা থেকে বালু নিলে গেলে এলাকার বাড়ী ঘর ভেংগে যাবে। এ বালু কেটে নেওয়া হলে অনেক সমস্যা হবে। এই জায়গায় বালু না থাকলে এক সময় বাজারসহ আশপাশের সব স্থাপনা ভেংগে যাবে।
নদীর তীরবর্তীর বাড়ি গাও গ্রামের বাসিন্দা শরীফ ফকির বলেন, বালু কাটা চলবেনা, চলবেনা চলবেনা। ইউনিয়ন পরিষদ বাঁচাতে হবে,বাঁচাতে হবে। দোকান পাঠ বাঁচাতে হবে,বাঁচাতে হবে।আামাদের নদী বাঁচাতে হবে,বাঁচাতে হবে। বাজার বাঁচাতে, বাঁচাতে হবে। মসজিদ বাঁচাতে হবে, বাঁচাতে হবে, তফসিল অফিস বাঁচাতে হবে, বাঁচাতে হবে।
তিনি বলেন, একটি কুচক্রী মহল শতবর্ষী ঐতিহাসিক রানিগন্জ বাজারসহ নদী থেকে বালু কাটার পায়তারা করছে। আমার খবর পাইছি, এই বালু কাটতে আসবে। আমি বলবো, বালু বিক্রি করতে হবে কিনা, তা আগে দেখে যেতে হবে।
বাজার ব্যবসায়ী সোলায়মান মোল্লা বলেন, এই খানে একটা পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এই বালু কেটে এ পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না।
রানিগঞ্জ বাজার জামে মসজিদ ইমাম বলেন আজিজুল ইসলাম বলেন, এই খেয়া ঘাটের এতিয্য আমাদের ঠিক রাখতে হবে। সুস্পষ্ট ভাবে জানতে পারছি, এই খেয়াঘাটের বালু কেটে নেওয়া হবে। আমরা বালু চড়ে রক্ত দিব কিন্তু বালু নিতে দিবনা।
বাজার ব্যবসায়ী নুরুল হক বলেন, ভাওয়ালের রানীর নামে রানিগঞ্জ। আর এই রানী গন্জ বাজার খেয়াঘাট থেকে বালু বিক্রি হবো তা হতে দিবনা। এটা বিক্রির ব্যবস্থা করলেও আমরা জীবন দিব। শীতলক্ষ্যা নদী রক্ষায় বালু নিতে দিবনা।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক বলেন, এটা মুক্তি যোদ্ধাদের জন্য ছিলো। পরে সরকার মনে করেছে ভাংগন রক্ষায় এই জায়গায় বালু উঠাইছে। আমরা বাজার ও আশপাশের স্থাপনা রক্ষায় এখানে সরকারের কাজের জন্য সরকারকে এটা দিয়েছিলাম। এখন এই খান থেকে বালু নিয়ে গেলে সব ভেংগে যাবে। এটা আমরা হতে দিবনা।
কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম লুৎফর রহমান জানান বালি বিক্রি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তবে কোন সিদ্ধান্ত হয় নি।