স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ প্রথমে নিখোঁজ ও পরে গতকাল যশোর রেলগেট মডেল মসজিদের পুকুর থেকে উদ্ধার হওয়া নয় বছরের শিশু জোনাকিকে হত্যায় দায় স্বীকার করলো সৎমা মোছাঃ নার্গিস বেগম (৩৫)।
নার্গিম বেগম যশোর জেলার কোতোয়ালি মডেল থানার রেলগেট মসজিদ পাড়ার নূর ইসলামের কন্যা।
ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী যশোর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই খান মাইদুল, শামীম হোসেন, রিয়েল, আরিফ, রফিকুল ইসলামসহ একটি টিম জোনাকি’র সৎ মা নার্গিস বেগমকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদে দোষ স্বীকার করে তথ্য প্রদান করে এবং তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী উদ্ধার করা হয় নিহত শিশু জোনাকির ব্যবহৃত জামা ও সেন্ডেলসহ লাশ গুমের কাজে ব্যবহৃত বালতি।
এসংক্রান্ত বিষয়ে নিহত জোনাকির পিতা শাহিন তরফদার বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় এজাহার দায়ের করলে আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) কোতয়ালী মডেল থানায় পেনাল কোডে মামলা দায়ের হয় যার নম্বর -১২।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বাদী শাহিন তরফদার আসামী নার্গিস বেগমকে ৩য় বিবাহ করে। এর আগে ১ম স্ত্রী মারা গেলে ভিকটিম জোনাকির মা কোহিনুর বেগমকে ২য় বিবাহ করে। কোহিনুর বেগম বাদিকে তালাক দিয়ে জোনাকিসহ ০৩ মেয়েকে ফেলে বিদেশে চলে যায় এবং অনত্র বিবাহ করে। পরে শাহিন তরফদার আসামী নার্গিস বেগমকে ৩য় বিবাহ করে। কিন্তু বিবাহের সাড়ে তিন বছরে নার্গিস বেগমকে সন্তান না দিতে দেওয়ায় এবং নার্গিসের টাকায় পূর্বের সন্তানদেরকে দেখাশুনা করার ক্ষোভে বশবর্তী হইয়া নার্গিস বেগম ভিকটিম জোনাকিকে নিয়ে এসে সুযোগ বুঝে তার বসতঘরে হত্যা করে লাশ ও আলামত গোপন করে ভিকটিম জোনাকি নিখোঁজ হয়েছে মর্মে প্রচার করে।