শিরোনাম

শিবচরে পদ্মা গর্ভে তিনতলা প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন

পদ্মার ভাঙনে মাদারীপুরের শিবচরে কয়েকদিনের ব্যবধানে আরেকটি স্কুল ভবন পদ্মা নদীতে বিলীন হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে চরাঞ্চল কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের একটি তিনতলা বিশিষ্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
এর ৫দিন আগে শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নে চরাঞ্চলের বাতিঘর খ্যাত একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়।
পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ২০ দিন ধরেই তীব্র স্রোত অব্যাহত থাকায় মাদারীপুরের শিবচরের বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকেই ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান বিএম আতাউর রহমান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামসহ শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বিলীন হওয়া বিদ্যালয়টি এলাকাটি পরিদর্শন করেন।
জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শিবচরের পদ্মা ও আড়িয়াল খা নদে অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পেয়ে তীব্র স্রোত অব্যাহত থেকে নদী ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে ৭ ইউনিয়নে।
পদ্মা তীরবর্তী উপজেলার বন্দরখোলা, কাঠালবাড়ি ও চরজানাজাতে নদী ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের ৭৭নং কাঁঠালবাড়ি সরকারি বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন সেন্টার ভবনটির বৃহৎ অংশ বিলীন হয়।
আরও জানা গেছে, বিদ্যালয়টিতে ২৭২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
স্কুলটির প্রধান শিক্ষক নাসিমা বলেন, বিদ্যালয়টি বিলীন হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া নিয়ে চিন্তায় আছি। খুবই কষ্ট লাগছে। আমার স্কুলে ২৭২ জন শিক্ষার্থী ছিল। তাদের শিক্ষা কার্যক্রম ভবিষ্যতে অনিশ্চিত হয়ে পড়ল।
এছাড়া ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে উপজেলার বন্দরখোলা, মাদবরেচর কাঠালবাড়ি, চরজানাজাত, সন্ন্যসিরচর, শিরুয়াইল, নিলখী ইউনিয়নের বাড়ি ঘর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা।
এদিকে এখনো পানিবন্দি রয়েছে হাজার হাজার পরিবার। এ পর্যন্ত নদীতে বিলীন হয়েছে সাড়ে ৪ শতাধিক ঘরবাড়ি। এ সকল এলাকায় খোলা ২১টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৩ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
দেশ রূপান্তর

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button