sliderরাজনীতিশিরোনাম

শিক্ষা ব্যবস্থাকে আজ ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে- ড. দিলারা চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিনিধি : ড. দিলারা চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে আজ ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। তিনি শুক্রবার এবি পার্টি আয়োজিত প্রতারণা মূলক দূর্নীতি বান্ধব প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
শুক্রবার (১০ জুন) বিকেলে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রতারণা মূলক দূর্নীতি বান্ধব প্রস্তাবিত বাজেট প্রত্যাখান করে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পার্টির আহবায়ক ও সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এফসিএ, দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, শিক্ষা খাতে এই সরকারের কোন মনযোগ নেই তারা উন্নয়ন বলতে বোঝায় কিছু ব্রীজ আর ফ্লাইওভার। কারন এগুলোর মাধ্যমে তাদের লুটের সুযোগ অবারিত হয়। এটি একটি ভূয়া বাজেট। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন এই বাজেট প্রস্তবনা কে আমরা রিজেক্ট করি। কিন্তু আমাদের রিজেক্ট কে হয়তো তারা আমলে নেবেনা। কারণ তারা সংঘবদ্ধ লুটেরা দল। তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে আজ ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। পদ্মা সেতু নিয়ে যা শুরু হয়েছে তা নিছক পাগলামী ছাড়া আর কিছুনা। পৃথিবীর কোথাও এরকম পাগলামী হয়না। তিনি বলেন বৃটিশ আমলে আলোড়ন সৃষ্টিকারী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ তৈরী হলেও ইংরেজরা এত পাগলামী করেনাই। আজ বুদ্ধিজীবি হিসেবে যারা পরিচিত তাদেরকে তিনি স্বার্থজীবি আখ্যায়িত করে বলেন রাষ্ট্র আজ বিপন্ন। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি শংকিত। যে সমাজের মেরুদন্ড নাই সে সমাজ নিয়ে আমি গভীরভাবে চিন্তিত। আশা করবো তরুণরা এই চিন্তা দুর করে দেবে। আমরা তাকিয়ে আছি এবি পার্টির তারুণ্য নির্ভর নেতৃত্বের দিকে। এই নিপীড়িত জনগোষ্ঠীর মুক্তি একটি তারুণ্য নির্ভর নেতৃত্বের হাত দিয়ে হোক এই প্রত্যাশা করি।
সভাপতির বক্তব্যে সোলায়মান চৌধুরী বলেন, এই দূর্নীতি বান্ধব বাজেট আমরা প্রত্যাখান করছি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও জননিরাপত্তা বিশেষ করে অগ্নি নিরোধক যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য বিশেষ বাজেট বরাদ্দের দাবী করছি।
অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, একটি অবৈধ সরকার জনবান্ধব বাজেট দিতে পারবেনা। কারন জনগণের কল্যান তাদের মূখ্য নয়। তাই তারা আওয়ামী বান্ধব বাজেট দিয়েছে। যেই বাজেট প্রস্তাবনার অর্ধেক পৃষ্ঠা জুড়ে আছে প্রধানমন্ত্রীর তৈল মর্দন। তিনি বলেন যেহেতু অবৈধ সংসদের বেশীরভাগ সদস্য ব্যবসায়ী তাই তারা এই বাজেটে খুশী, সুতরাং সংসদে এ বাজেট এদিক-সেদিক করে পাশ করবে।
ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, একটি অবাস্তব, কল্পনা নির্ভর বাজেট সরকার পেশ করেছে। যেখানে রাজস্ব আয়, বৈদেশিক ঋন কিংবা ব্যায়ের কোন স্বচ্ছতা নেই। উন্নয়নের গল্পের নামে লুটের ইতিহাস সৃষ্টি করা হচ্ছে।
আমিনুল ইসলাম এফসিএ বলেন, সরকার ব্যাংক থেকে অনবরত ঋন নিয়ে বাজেট বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যেই দশ ব্যাংকে সাতাশ হাজার কোটি টাকার মূলধন ঘাটতি রয়েছে। ডলারের দাম বাড়ছে মানেই আমদানি ব্যায় বাড়বে। যার ফলে সব জিনিস পত্রের দাম বাড়বে। সরকার যত কথাই বলুক দেশ সংকটের দিকে যাচ্ছে যা ঠেকাতে হলে আমাদেরকে সঠিক রাজনৈতিক ভুমিকা রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, এম ইলিয়াস আলী, মো. আক্তারুজ্জামান, জননেতা আব্দুল লতিফ মাস্টার, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব ফিরোজ কবীর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার রফিক, সুলতানা রাজিয়া, মিনহজুল আবেদীন শরীফ, যুবনেতা তফাজ্জল হোসেন রমিজ, সাইফুল মির্জা, কামাল হোসেন, গাজী নাসির, শাহজাহান ব্যাপারী, সেলিম খান, শীলা আক্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, আব্দুল হালিম নান্নু, জেসমিন আক্তার মুক্তা, সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button