sliderআইন আদালতশিরোনাম

শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে বেসরকারি ইউনিভার্সিটির শিক্ষক গ্রেফতার

বারবিকিউ পার্টির নামে বাসায় ডেকে শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির মামলায় প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক অনিমেষ ভট্টাচার্য (৪২) কে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার সকালে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ ইয়াসিন গাজী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার আসামি অনিমেষ ভট্টাচার্যকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এসময় আসামির পক্ষে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিট ম্যাজিষ্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে শ্লীলতাহানি ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টর থেকে অনিমেষ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে উত্তরা-পশ্চিম থানা পুলিশ।
তিনি জানান, বুধবার দিবাগত রাত সাড় ৯ টার দিকে মামলার বাদীর বন্ধুর সহযোগিতায় প্রধান আসামী একই ইউনিভার্সিটির প্রভাষক কুমার অনিমেশ ভট্টাচার্যর ফ্ল্যাটের সামনে নিয়ে যায়। এরপর শিক্ষক দরজা খুলে বাদীর ডান হাত ধরে টান দিয়ে তার রুমের ভিতরে নিয়ে যায়। এরপর রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেয়। এসময় শিক্ষক বাদীর শরীরে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং বিভিন্ন ভাবে তাকে শ্লীলতাহানির করে বলে জানা য়ায়।
ঘটনার পর দিন গত বৃহস্পতিবার রাতে অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষক কুমার অনিমেশ ভট্টাচার্য (৪২) কে আটক করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন শিক্ষক কুমার অনিমেশ ভট্টাচার্য ।
ভুক্তভোগী ছাত্রী তার অভিযোগে বলেছেন, গত ৬ জুলাই রাতে নাহিদুল ওই ছাত্রীকে নিজ বাসায় বারবিকিউ পার্টিতে আমন্ত্রণ জানান। পার্টিতে কে কে আছে, জানতে চাইলে নাহিদুল জানান, কয়েকজন সহপাঠী ও শিক্ষক অনিমেষ ভট্টাচার্য আছেন। এত রাতে যাওয়া সম্ভব না বলে জানান ওই ছাত্রী। পরে নাহিদুলের জোরাজুরিতে রাজি হয়ে দুই ছোট ভাইকে নিয়ে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরে যান তিনি। ‘স্যারের সঙ্গে দেখা করে চলে আসব’, বলে ছোট দুই ভাইকে নাহিদুলের বাসার নিচে অপেক্ষা করতে বলেন ওই ছাত্রী।
নাহিদুলের বাসায় যাওয়ার সাথে সাথে অনিমেষ দরজা বন্ধ করে শ্লীলতাহানি করেন। সেখান থেকে পালিয়ে এলে অনিমেষ ও নাহিদুল ওই ছাত্রীকে ফোন করে এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রী বৃহস্পতিবার রাতে অনিমেষ ও নাহিদুলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
এঘটনার পর থেকে মামলার ২ নং আসামী নাহিদুল হক পলাতক রয়েছেন। তাকে আটক করতে পুলিশের একাধিক টিম উত্তরাসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন।
সূত্র : বাসস

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button