নিজস্ব প্রতিনিধি: আওয়ামীলীগ নেতাদেরকে তথাকথিত শান্তি সমাবেশের নামে ভীতি উৎপাদন ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে এবি পার্টি। জনগণের ভোটাধিকার হরনের প্রতিবাদে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যখন নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মসূচি দিচ্ছে তখন সরকারী দলের নেতারা তার পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে প্রকাশ্য অস্ত্র হাতে পুলিশের সামনে শান্তি সমাবেশের নামে সন্ত্রাসের মহড়া দিচ্ছে বলে অভিযোগ করে দলটি।
আজ বিকেল ৩ টায় বিজয়নগরস্থ বিজয়-৭১ চত্বরে
অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, প্রহসনমূলক নির্বাচনী তফসিল বাতিল ও সকল রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তির দাবিতে চলমান আন্দোলন কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে এক জনবিক্ষোভ কর্মসূচিতে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
দলের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার এর সভাপতিত্বে জনবিক্ষোভ ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ও যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
প্রফেসর ডাঃ মেজর (অবঃ) আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, , এই ফ্যাসীবাদি সরকার গোটা দেশকে একটি সংঘাত সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। একতরফা একটা সাজানো প্রহসনের নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনের ঘারে বন্দুক রাখা হয়েছে। আজ বিরোধীদলের অফিস তালাবদ্ধ করে আওয়ামীলীগ মনোনয়ন বিক্রির উৎসবে মেতে উঠেছে। আমরা মেরুদণ্ড বিহীন এই নির্বাচন কমিশনের অবিলম্বে পদত্যাগ চাই, এই অবৈধ সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ চাই। দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে অংশগ্রহন মূলক নির্বাচন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, নির্বাচন কমিশনের একতরফা নির্বাচন আয়োজন ও আওয়ামীলীগ নেতাদের উল্লাস দেখে জনগণ খুব মজা পাচ্ছে। প্রতিপক্ষ ছাড়া খালি মাঠে খেলার মধ্যে যারা আনন্দ পায় তাদের রাজনৈতিক দৈন্যতা দেখে করুনা প্রকাশ ছাড়া আর কিছু বলার নাই। তিনি আওয়ামীলীগ নেতাদেরকে তথাকথিত শান্তি সমাবেশের নামে ভীতি উৎপাদন ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনাদের অবস্থা দেখে মনেহচ্ছে আপনারা নব্য আওয়ামী অশান্তিবাহিনী। তিনি এই আওয়ামী অশান্তিবাহিনীর হাত থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণবিপ্লবে ঝাপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।
ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, সরকারের ও নির্বাচন কমিশন যোগসাজশে যে একতরফা নির্বাচনের পায়তারা চলছে তার বিরুদ্ধে আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছে। আমরা আন্তর্জাতিক বিশ্বের সাথে একমত পোষন করে বলতে চাই, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অবশ্যই অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হতে হবে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন সংগ্রাম চলবে ইনশাআল্লাহ।
জনবিক্ষোভে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক বিএম নাজমুল হক, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন, দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক গাজী নাসির, উত্তরের সদস্যসচিব ফিরোজ কবির, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্যসচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, যুবপার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক হাদিউজ্জামান খোকন, ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, যুবপার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব মাসুদ জমাদ্দার রানা, সুলতানা রাজিয়া, নারী নেত্রী আমেনা বেগম, ফেরদৌসী আক্তার অপি, মহানগর উত্তরের সংগঠক সেলিম খান, আব্দুর রব জামিল, সাবক ছাত্রনেতা রিপন মাহমুদ সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।