শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের পুলিশের অভিজ্ঞতা
বাংলাদেশ সহ সারবিশ্বে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে রোববার পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস।
শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে যেসব দেশ অংশ নিচ্ছে তার মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে শীর্ষস্থানের দেশগুলোর মধ্যেই।
সামরিক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত সেনা,নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যের পাশাপাশি মিশনে দীর্ঘদিন ধরেই অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে আট হাজার সদস্য এখন শান্তিরক্ষী মিশনে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে পুলিশ সদস্য রয়েছেন ১১৭২ জন।
কিন্তু সহিংসতার জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ একটি দেশে কাজ করার ক্ষেত্রে পুলিশ সদস্যদের অভিজ্ঞতা কেমন?
কতটা ঝুঁকি বা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয় পুলিশকে?
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান পূর্ব তিমুর ও আইভরি কোস্টে শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়েছিলেন।
বিবিসিকে তিনি বলছিলেন বাংলাদেশে পুলিশের যে কাজ বিদেশের পুলিশের কার্যক্রম সেই একই রকম।
তবে অপরিচিত জায়গা হবার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ভাষাগত জটিলতার মুখে পড়তে হয় বলে জানান মি: রহমান। খাবারদাবার নিয়েও সমস্যার মুখে পড়তে হয় বলে জানান তিনি।
“তবে সময়ের সাথে সাথে খাপ খাইয়ে নিতে হয়”-বলেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
সহিংসতাপূর্ণ এলাকায় সেনাবাহিনীর পরেই সেই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয় পুলিশকে।
মাসুদুর রহমান জানান “জাতিসংঘের কর্মকর্তা যারা থাকেন তাদের নিরাপত্তা দেয়া, পাশাপাশি জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে নিরাপত্তা প্রদান, চেকপোস্ট, ভিভিআইপি ডিউটি, নির্বাচনী কেন্দ্রে ডিউটি এসব কাজগুলো পুলিশ সদস্যদের করতে হয়”।
শান্তিরক্ষী মিশনের জন্য বাংলাদেশ থেকে যোগ্যপ্রার্থীদের নির্বাচন করেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা।
কিছু জায়গায় স্থায়ী সদস্যরা কাজ করছে যেমন সুদান-কঙ্গোতে পুলিশের স্থায়ী সদস্যরা কাজ করছেন বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান।
শান্তিরক্ষী মিশনে নিজের অভিজ্ঞতার প্রেক্ষাপটে মি: রহমান বলেন মিশনে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার চেষ্টা করলেও স্থানীয় পুলিশের সাথে কাজ করাটা হয় চ্যালেঞ্জের।
“স্থানীয় পুলিশের ক্যাপাসিটি বিল্ড আপ করা তাদের পেশাদারিত্ব আরও বৃদ্ধি করা সেটাই মূল লক্ষ্য থাকে। আর তাদের সাথে নিয়েই দায়িত্বটা আরও ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারি”-বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান।
বিবিসি