শান্তিতে নোবেল পেলেন ইরাকের নাদিয়া মুরাদ ও কঙ্গোর মুকওয়েগে

এবারের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন ইরাকের ইয়াজিদি অধিকারকর্মী নাদিয়া মুরাদ ও কঙ্গোর চিকিৎসক ডেনিস মুকওয়েগে। যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ধর্ষণ বন্ধের চেষ্টার স্বীকৃতিতে তারা এ পুরস্কার পেলেন।
নরওয়ের নোবেল কমিটি শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে চলতি বছরের পুরস্কারজয়ী হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করে। খবর রয়টার্সের।
পুরস্কার হিসেবে একটি করে সোনার মেডেল পাবেন মুকওয়েগে এবং নাদিয়া মুরাদ। সেই সঙ্গে পুরস্কারের ৯০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার তারা ভাগ করে নেবেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর সুইডিস শিল্পপতি ও এ পুরস্কারের উদ্যোক্তা আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে নরওয়ের অসলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হবে।
মুকওয়েগে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় শহর বুকাবোর পানজি হাসপাতালে যৌন সহিংসতার আক্রান্তদের চিকিৎসায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
১৯৯৯ সালে চালু হওয়ার পর ক্লিনিকটিতে প্রতিদিন প্রায় হাজারখানেক নারী চিকিৎসা নিচ্ছেন, যাদের অনেকেরই সার্জারির প্রয়োজন পড়ছে।
অন্যদিকে মুরাদ ইরাকের সংখ্যালঘু ইয়াজিদি গোষ্ঠীর একজন অ্যাডভোকেট এবং নারীর মানবাধিকার নিয়ে তিনি কাজ করছেন। তিনি ২০১৪ সালে মসুলে উগ্রবাদী গোষ্ঠী আইএস কর্তৃক অপহৃত ও ধর্ষিত হয়েছিলেন।
চলতি বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের তিন রসায়নবিদ। এদের মধ্যে দুইজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তারা হলেন, রসায়নবিদ ফ্রান্সেস এইচ আরনল্ড ও জর্জ পি স্মিথ। আর ব্রিটিশ রসায়নবিদের নাম স্যার গ্রেগরি পি উইন্টার।
বুধবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি সুইডেনের স্থানীয় সময় বেলা পৌনে ১২টায় রসায়নে এ তিন বিজ্ঞানীর নোবেল জয়ের ঘোষণা দিয়েছে।
নোবেল বিজয়ী ফ্রান্সিস এইচ আর্নল্ড পুরস্কারের অর্ধেক অর্থ পাবেন। আর বাকী অর্ধেক যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ পি স্মিথ এবং ব্রিটেনের গ্রেগরি পি উইন্টার পাবেন।