
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) সংবাদদাতাঃপাখি প্রজাতি সব জায়গা নিজেদের আবাসস্থল হিসেবে বেছে নেয়না, যেখানটা ওদের জন্য নিরাপদ মনে করবে সেখানেই আশ্রয় নেয় এবং বংশবৃদ্ধি করে। তেমনি নিরাপদ বাড়ি হিসেবে বেছে নিয়েছে কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামের মোল্লা বাড়িটি। এখানে দর্শনার্থীরা আসেন বিভিন্ন সময়ে, উপভোগ করেন বনজবৃক্ষরাজি ও নানান প্রজাতির পাখি ও ওদের ডাকাডাকি। প্রায় দুইশো ফিট উচ্চতা সম্পন্ন গাছে ঝুলছে বিশালাকৃতির অসংখ্য বাঁদর, কিন্তু এখানে এদের ডাল পরিবর্তন ও পাখা ছড়ানোসহ কেও কেও কিউ কিউ কারাক্কা কারাক্কা কর্কশ শব্দও প্রাকৃতি প্রেমিকদের নিয়ে যায় এক ভাবনার জগতে। এছাড়া পানকৌড়ি, বক, বটকল, হামুককাছা, ঘুঘু, দোয়েল, কাঠঠোকরা, চড়ই, বাবুই, শালিক, মাছরাঙা সহ চেনাজানা ও অপরিচিত বহু প্রজাতির পাখির অভয়াশ্রম। যে বাড়িটা পাখি ও বাঁদর নিজেদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নিয়েছে সেই বাড়ির মালিক হলেন, প্রকৃতি প্রেমিক সাদা মনের মানুষ হাজ্বী মোঃ মোবারক হোসেন মোল্লা সহ অন্যরা। তিনি বলেন, এখানে বাঁদর সহ নানান প্রজাতির পাখি দেখতে স্থানীয় সহ দেশের বিভিন্ন এলাকার দর্শনার্থীরা আসেন অভ্যাগতদের বরাবরই তিনি স্বাগত জানান। তবে একসময় পাখি শিকারীদের আনাগোনা থাকলেও এলাকাবাসীর সতর্কতার কারনে পাখি শিকারীরা আর আসেনা,ফলে পাখিরা এখন পরিপূর্ণ নিরাপদ। প্রকৃতি ও পরিবেশ বজায় রাখতে সকলকে আরো আন্তরিক হতে তিনি পরামর্শ দেন মোবারক হোসেন মোল্লা। উল্লেখ্য দাউদকান্দি উপজেলার বাহাদুর খোলা গ্রামে একসময় বাঁদরের অভয়ারণ্য ছিল কিন্তু সাধারণ মানুষের যাতায়াত ও অসহযোগিতার কারনে এই গ্রাম থেকে আস্তে আস্তে ওরা চলে যাচ্ছে অন্য জাগায়। তবে সুখের বিষয় পাখি ও পরিবেশ বন্ধু হিসেবে ইতিপূর্বে জাতীয় পদক লাভ করেছেন দাউদকান্দি উপজেলার আদমপুর গ্রামের কৃতি সন্তান অধ্যাপক মতিন সৈকত। পরিবেশ রক্ষায় সাদা মনের মানুষ হাজ্বী মোঃ মোবারক হোসেন মোল্লা ও মতিন সৈকত মহোদয় এর মতো সবাই সবাই এগিয়ে আসা দরকার পরিবেশ রক্ষায়।