লালমোহনে গাছ থেকে জোরপূর্বক সুপারি নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

লালমোহন প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহনে জোরপূর্বক সুপারি বাগানে ডুকে প্রায় দেড়শতাধিক গাছের সুপারি পেড়ে নিয়ে গেছে একটি মহল।
লালমোহন উপজেলার চরভূতা ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড লেংগুটিয়া গ্রামে আবি আব্দুল্লাহ খোকন মিয়ার বাগান থেকে এসব সুপারি নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা। শুক্রবার ৪ অক্টোবরএ ঘটনা ঘটে।
আবি আবদুল্লাহ খোকন জানান, প্রায় ৩০ বছর পুর্বে মনোরঞ্জন, হরলাল, লিটন ও উত্তম গংদের কাছ থেকে বিএস খতিয়ান নং ২৫, দাগ নং ৫১৭/৫১৮ মৌজা চর লেংগুটিয়া প্রায় ৯ একর জমি খরিদ করেন তিনি। এরপর এই জমি নিয়ে আদালতে মামলা হয় হেদায়েত উল্লাহ গংদের সাথে। মামলায় ভোলার অতিরিক্ত জজ আদালত আবি আবদুল্লাহ খোকনের অনুকূলে রায় ঘোষনা করেন। তখন হেদায়েত উল্লাহ বাদী হয়ে হাই কোর্টে ৩৯/২০১১ রিট করেন। আদালতে মামলা চললেও শুক্রবার ৪ অক্টোবর সকালে হেদায়েত উল্লাহর ক্যাডার বাহিনী ফরহাদ, হুমায়ুন, মনির, মোঃ রুবেল, পিতা মোজাম্মেল, মনির, ইব্রাহিম, জসিম, পিতা, হারিছ আহমেদ, করিম, পিতা সফিউল্লাহ, ইউছুব পিতা, মোহাম্মদ আলী, মোস্তফা, পিতা, জমদার, জাকির, কালাম, ইউসুফ, মোফাজ্জল, চৌধুরীসহ প্রায় ৩০/৩৫ জন মিলে শুক্রবার সকাল দশটার দিকে বাগানে ঢুকে প্রায় দেড়শতাধিক সুপারি গাছের সুপারি পেড়ে নিয়ে যায়। আবি আবদুল্লাহ খোকন বলেন, এরা সবাই আওয়ামীলীগের লোক। বিগত দিনেও এরা আমাকে মামলা দিয়ে হয়রানি ও জুলুম করেছে। এখন আবার বিএনপির নাম ধারন করে আমার বাগানের সুপারি নিয়ে গেছে। মহাজন বাড়ির বাসিন্দা, সাহেব আলী বলেন, আবি আবদুল্লাহ খোকন তার সুপারি বাগান ও জমি দেখা শুনার দায়িত্ব আমার পরিবারকে দিয়েছেন।
খোকন মিয়া তার পরিবার নিয়ে অন্য জায়গায় বসবাস করার সুবাদে, তাদের এই পুরান বাড়ির যত জায়গা জমি আছে এগুলো সব আমি এবং আমার পরিবার দেখাশোনা করি ।
ক্যাডাররা সুপারি গুলো পেড়ে নিয়ে যায় এ সময় আমি বাঁধা দিলে তারা আমার সাথে খারাপ ভাষায় কথা বলে। এবং তারা বলে এটা উপরের নির্দেশ আপনারা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, ইলিয়াস কালাম সরকার কে জিজ্ঞাসা করেন, আমাদেরকে বলছে তাই আমরা পেরে নিয়ে যাচ্ছি। এ ঘটনার সুস্থ বিচার দাবি করেছেন আবি আবদুল্লাহ খোকন।