রুহুল আমিন বাবুল, কোম্পানীগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি: লাখো মানুষের জীবন জীবিকার স্বার্থে সিলেটের সকল পাথর কোয়ারী থেকে পাথর উত্তোলনের দাবিতে ভোলাগঞ্জ ক্ষুদ্র পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বেলা ৩টায় ভোলাগঞ্জ ক্ষুদ্র পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর নিজস্ব কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভোলাগঞ্জ ক্ষুদ্র পাথর ব্যাবসায়ী সমবায় সমিতির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শাহ আলম ভুইয়া।
সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এখলাছ আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা বিএনপি’র সহ সভাপতি ও উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি হাজী সাহাব উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানি কারক গ্রুপের কোষাধ্যক্ষ আব্দুস সালাম বাবুল, সিনিয়র সহ সভাপতি বশির আহমদ, কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শাব্বির আহমদ, ভোলাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল বাশার, ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানি কারক গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, ভোলাগঞ্জ ক্ষুদ্র পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর উপদেষ্টা আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ ফখরুল ইসলাম মেম্বার, ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানি কারক গ্রুপের উপদেষ্টা সদস্য মোঃ ফয়জুল হক, ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার দুলাল মিয়া দুলা, ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানি কারক গ্রুপের কার্যকরী সদস্য মোঃ আকদ্দুছ, ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানি কারক গ্রুপের কার্যকরী সদস্য সাজ্জাদ হোসেন দুদু, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, শানুর আলী প্রমুখ।
এ সময় ভোলাগঞ্জ ক্ষুদ্র পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর অফিস উদ্বোধন করেন উপস্থিত অতিথিরা।
সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, ফ্যাসিবাদ হাসিনা সরকার দেশের একটি লুটেরা শ্রেনীর স্বার্থ সুরক্ষায় তৎপর ছিলো। ফ্যাসিবাদের চিহ্নিত দোসররা বিদেশ থেকে দেশের রিজার্ভের মূল্যবান ডলারের অপচয় করে পাথর আমদানীর নামে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এদিকে সিলেটের লাখো লাখো মানুষকে রোজগার বঞ্চিত করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সিলেটের প্রধান ও একমাত্র কর্মসংস্থান পাথর কোয়ারী। এখনো ফ্যাসিবাদের দোসরদের কারনে পাথর কোয়ারীতে শ্রমিকরা তাদের অধিকার ফিরে পায়নি। সভায় বক্তারা অবিলম্বে সিলেটের সব গুলো পাথর কোয়ারী খোলে দিয়ে গরীব ও মেহনতি মানুষের কর্মসংস্থান দেয়ার দাবী জানান। সভায় বক্তারা আরো বলেন,অবিলম্বে পাথর কোয়ারী গুলো খোলে না দিলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।