লন্ডনে বইমেলায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ যোগ করলো ভিন্ন মাত্রা। রবিবার দুই দিনব্যাপী ৯ম ‘বাংলাদেশ বইমেলার’ উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গেই মেলার প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধু কর্নার।
আগত দর্শকরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজের এবং তার জীবন ও কর্মের ওপর লেখা বিভিন্ন বই গভীর আগ্রহ নিয়ে দেখেন। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পোস্টার এবং ব্যানারে সাজানো এই স্টলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা বইগুলোও প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছে। দর্শকরা এসব বই কেনার ও সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকাশকের তথ্য এই স্টল থেকে নেন।
পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্ট সেন্টারে বেলুন উড়িয়ে সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, যুক্তরাজ্য আয়োজিত এই বইমেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে বাংলা ভাষা, সংস্কৃতিকে ধরে রাখা ও এর প্রসারে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে লন্ডনের বিভিন্ন কমিউনিটি পাঠাগারে আরো বেশি করে বাংলা বই রাখার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের মেলায় হাই কমিশনের পক্ষ থেকে ‘বঙ্গবন্ধু প্যাভেলিয়ন’ করার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, আগামী বছর বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যেও বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী পালন করা হবে। বইমেলায় ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ তারই একটা পূর্ব প্রস্তুতি বলা যায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত সাংবাদিক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী এক ভিডিও বার্তায় বইমেলার সাফল্য কামনা করেন। আগামী প্রকাশনী এবার মেলা উপলক্ষে তাকে আজীবন সম্মাননা দিয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী, কবি ও সাংবাদিক শামিম আজাদ, সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ, যুক্তরাজ্যের সভাপতি ফারুক আহমদ, সেক্রেটারি ইকবাল হোসেন বুলবুল ও ড. মুকিত খান উপস্থিত ছিলেন।
এবারের বই মেলায় বাংলাদেশ থেকে ১৫ টি প্রকাশনা সংস্থাসহ বেশ কয়েকটি প্রকাশনা সংস্থা অংশ নিচ্ছে। মেলায় বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি লেখকদের বই স্থান পেয়েছে।
ইত্তেফাক