
চার গোলে লা লিগায় জিরোনাকে ৬-৩ গোলে বিধ্বস্ত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথমার্ধে রোনালদো এক গোল করার পরে দ্বিতীয়ার্ধে আরো তিন গোল করেছেন। আর এর মাধ্যমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় শেষ ১১ ম্যাচে করেছেন ২১ গোল। ঘরের মাঠ সানতিয়াগো বার্নাব্যুতে নিজে চার গোল করা ছাড়াও লুকাস ভাজকুয়েজকে দিয়ে করিয়েছেন এক গোল। মাদ্রিদের পক্ষে অপর গোলটি করেছেন গ্যারেথ বেল। শেষ আট ম্যাচে রোনালদো অন্তত একটি করে গোল করেছেন। লীগে এ পর্যন্ত তার গোলসংখ্যা ২২। বার্সেলোনার লুইস সুয়ারেজের তুলনায় যা একটি বেশি ও সর্বোচ্চ গোলদাতা লিওনেল মেসির তুলনায় তিনটি কম।
মাদ্রিদ ডিফেন্ডার নাচো ফার্নান্দেজ বলেছেন, ‘এটা সত্যিই অসাধারণ। আবারো রোনালদো প্রমাণ করেছে সেই সেরা।’
এই নিয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় টানা চতুর্থ জয় তুলে নিল মাদ্রিদ। আর এর ফলে ভ্যালেন্সিয়াকে হটিয়ে আবারো লীগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে গ্যালাকটিকোরা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের থেকে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্টে ব্যবধান এখন মাত্র চার। রোববার ভিয়ারেলের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হয়ে পয়েন্ট হারিয়েছে এ্যাথলেটিকো। তবে ন্যু ক্যাম্পে এ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে ঠিকই ২-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছে বার্সেলেনো। ফলে টেবিলের শীর্ষে থাকা কাতালান জায়ান্টদের থেকে মাদ্রিদ ১৫ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকলো।
ম্যাচ শুরুর ১১ মিনিটের মধ্যে টনি ক্রুসের ক্রস থেকে গোল এরিয়ার মধ্যে বাম পায়ের লো শটে রোনাল্ডো দলকে এগিয়ে দেন। ৪৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন এই পর্তুগীজ তারকা। যদিও এর আগে ২৯ মিনিটে গ্রানেলের সহযোগিতায় জিরোনার পক্ষে সমতা ফিরিয়েছিলেন ক্রিস্টিয়ান স্টুয়ানাই। ৬৪ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণের আগে ৫৯ মিনিটে ভাসকুয়েজকে দিয়ে রিয়ালের হয়ে তৃতীয় গোলটি করিয়েছিলেন রোনালদো।
ইনজুরি টাইমে ক্রুসের পাস থেকে পেনাল্টি স্পটের কাছে থেকে নিজের চতুর্থ গোল করেন সিআর সেভেন। লুকা মোদ্রিচের সহযোগিতায় ৮৬ মিনিটে বেল দলের হয়ে পঞ্চম গোলটি করেছেন। ৬৭ মিনিটে অবশ্য বোরজা গারসিয়ার ক্রসে হেডের সাহায্যে গোল দিয়ে স্টুয়ানাই জিরোনাকে কিছুটা স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত রিয়ালের গোলের দাপটে ৮৮ মিনিটে জুনাপে রামিরেজের গোল কোন কাজে আসেনি।
ফার্নান্দেজ বলেছেন, সমর্থকদের জন্য এটা সত্যিকার অর্থেই একটি উপভোগ্য ম্যাচ ছিল। এতগুলো গোলের ম্যাচ দেখার মধ্যে অন্য রকম আনন্দ আছে।
মাদ্রিদ কোচ জিনেদিন জিদান কাল ডিফেন্ডার সার্জিও রামোসকে বিশ্রামে রেখে মূল একাদশের বাইওে রেখেছিলেন বেল, মোদ্রিচ, ইসকো ও কাসেমিরোকে।
এই জয়ে জিরোনার টানা তিন ম্যাচে জয়ের ধারা বাঁধাগ্রস্থ হলো। কাতালান ক্লাবটি এবারই প্রথম লা লিগায় খেলতে এসেছিল। প্রথম মৌসুমেই তারা নিজেদের প্রমাণ করেছে। সপ্তম স্থানে থেকে তাদের লীগ শেষ করার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেটা হলে আগামী মৌসুমে ইউরোপা লীগে খেলার সুযোগ পাবে। ষষ্ঠ স্থানে থাকা সেভিয়ার থেকে দুই পয়েন্ট ও পঞ্চম স্থানে থাকা ভিয়ারেলের থেকে তারা চার পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে।