চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুররের চিরিরবন্দরে শান্তি বালা (৬০) নামের এক বৃদ্ধা রোগের যন্ত্রনা সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে।
শনিবার (৪ জুন) দুপুর আনুমানিক ২.৩০ ঘটিকায় নিজ শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। শান্তি বালা (৬০) উপজেলার ভিয়াইল ইউনিয়নের তালপুকুর (মানিক শাহ্) পাড়ার মৃত অতুল চন্দ্র রায়ের ২য় স্ত্রী।
পরিবার সুত্রে জানা যায়, শান্তি বালা (৬০) দীর্ঘদিন যাবত গলব্লাডার পাথর অপারেশন করার পর বুকের ব্যথায় ভুগছিলেন। বুকের ব্যাথা সহ্য করতে না পেরে গত শনিবার দুপুরে খাওয়ার পর সকলের অঞ্জাতসারে নিজ শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেন তিনি।
ভিষ্ম রায় জানায়, মা সহ সকলেই একসঙ্গে দুপুরের খাওয়ার আমি বাড়ির বাহিরে যাই এবং মা তার ঘরে শুতে যান। কিছু সময় পর তার (শান্তি বালা) নাতনি বর্ষা রায় (১৪) ঘরের দরজা ঠেলে গরের ভিতর প্রবেশ করলে তার দিদা শান্তি বালা রায় (৬০) কে নিজ ঘরের কোটার নল বাঁশের সঙ্গে গলায় দঁড়ি পেঁচিয়ে ঝুলতে দেখে চিৎকার করে। তাঁর (শান্তি বালা) নাতনী বর্ষা রায় (১৪) এর চিৎকার শুনে তার (বর্ষা রায়) বাবা ভিষ্ম রায় ছুটে এসে শান্তি বালাকে ছটফট করতে দেখে চিৎকার শুরু করে এবং প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় রশি কেঁটে নিচে নামায় ততক্ষণে চিরশান্তির ঠিকানায় পৌছে গেছেন শান্তি বালা (৬০)।
আত্মহত্যার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ভিয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক শাহ। তিনি বলেন দীর্ঘদিন ধরে নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। রোগের যন্ত্রনা সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেন।
পরে চিরিরবন্দর থানায় খবর দিলে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোপাল চন্দ্র সরকার স্থানীয় সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন এবং পরিবারের কোন আপত্তি না থাকায় মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। এ ব্যাপারে চিরিরবন্দর থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।