
রাষ্ট্রহীনতা দূরীকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক এক কর্মশালা রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্টিত হয়েছে। আইন, আদালত, সংবিধান ও মানবাধিকার সংক্রান্ত সাংবাদিকদের সংগঠন ল’রিপোর্টার্স ফোরাম (এরআরএফ) এর সদস্যদের নিয়ে জাতিসংঘ শরণার্থী সংক্রান্ত সংস্থা ইউএনএইচসিআর এ কর্মশালা আয়োজন করে। আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এ কর্মশালা অনুষ্টিত হয়। এলআরএফ-এর ৪০ জন সদস্য আজ এ কর্মশালায় অংশ নেন।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তৃতা ও সভাপতিত্ব করেন এলআরএফ-এর সভাপতি আশুতোষ সরকার। কর্মশালায় বিষয় ভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেন সিনিয়র সাংবাদিক কাজী আব্দুল হান্নান, ইউএনইচসিআরের বাংলাদেশের সহকারী প্রটেকশন অফিসার ফাহমিদা করিম, সৌভিক দাস তমাল। কর্মশালায় সমাপনি বক্তৃতা করেন ইউএনএইচসিআর-এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ স্টিনা লুংডেল। কর্মশালার অয়োজনের জন্য ইউএনএইচসিআর-এর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এলআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক বাসস এর সিনিয়র রিপোর্টার (আইন) দিদারুল আলম দিদার।
স্টিনা লুংডেল বলেন, জাতীয়তা সনদ বা পরিচয়পত্র না থাকায় শিক্ষা বা স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক সেবা থেকে বঞ্চিত হন অনেকে। রাষ্ট্রহীন ব্যক্তিদের সমস্যাগুলো সচরাচর দেখা যায় না। যেসব আইন ও নীতিমালার ফলে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী তার নাগরিক অধিকার হারায়, তা অনুসন্ধান করে মানুষের দুর্ভোগ ও বৈষম্য লাঘবে এবং রাষ্ট্র্রহীনতার ঝুঁকি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে গনমাধ্যম। তিনি বলেন, দশ বছরের মধ্যে রাষ্ট্র্রহীনতা নির্মূল করতে ২০১৪-এর নভেম্বরে বিশ্বব্যাপী প্রচারণা শুরু করে ইউএনএইচসিআর। বিদ্যমান পরিস্থিতির সমাধানে এবং নতুন ঘটনার উত্থান প্রতিরোধে জাতিসংঘ, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থা, সুশীল সমাজ ও রাষ্ট্র্রহীন ব্যক্তিদের সুরক্ষায় সকলেরই সমর্থন দেয়া উচিত ।
কর্মশালায় আলোচকগন নাগরিকত্ব, সার্বভৌমত্ব ও রাস্ট্রীয় অধিকার নিয়ে বিষয় ভিত্তিক আলোচনা করা হয়। এ সময় রাষ্ট্রহীনতা, ছিটমহলবাসীর নাগরিকত্ব, রিফিউজি, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে গনমাধ্যম কি ধরণের ভূমিকা রাখতে পারে তার গুরুত্ব আলোচনা করা হয়। রাষ্ট্র্রহীনতার ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর কর্মশালায় গুরুত্বারোপ করা হয়।
কর্মশালায় ইউএনএইচসিআর-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ১০ মিলিয়ন মানুষ এখন রাষ্ট্রহীন। তারা কোন দেশেরই নাগরিক নন।
কর্মশালা শেষে প্রত্যেক ডেলিগেটকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।