মোঃ ইসলাম,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধের প্রতিবাদ করায় ওহাব আলী (৩৬) নামের এক যুবককে মারধর করে জখম ও আহত করার অভিযোগ উঠেছে নবাব আলী গংয়ের বিরুদ্ধে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলার রানীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ ইউনিয়নের করনাইট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবককে রানীশংকৈল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই যুবক কুমারগঞ্জ এলাকার মৃত আব্দুল গফুর এর ছেলে। আর অভিযুক্তরা হলেন-একই এলাকার মৃত আব্দুল গফরের দুই ছেলে নবাব আলী (৫০), আবুল কাসেম (৩২), আনারুল ইসলামের স্ত্রী মকলেসা বেগম (৫৬) তার ছেলে আহাদ আলী (৩৫), নবাব আলীর স্ত্রী গোলাপী বেগম (৩৫) ও আবুল কাসেমের স্ত্রী আসমিনা আক্তার (৩০)।
জানাযায়, দীর্ঘদিন ধরে নবাব আলীর লোকজন জমির বিরোধে ওহাব আলীর পরিবারের ক্ষতি ও ষড়যন্ত্র করে আসছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নবাব আলীর লোকজন ওহাব আলীর ভোগদখলকৃত জমি জবর-দখল করে এবং জনসাধারণের চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। এসময় ওহাব বাঁধা দিতে গেলে নবাব আলী গং তাকে কিলঘুষিসহ বাশের লাটি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। সে সঙ্গা হারিয়ে রাস্তায় পড়ে থাকলে এলাকাবাসীরা উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করান।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওহাব আলী জানান, কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই নবাব আলী ও তার লোকজন আমাদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। আমি প্রতিবাদ করতে গেলে তারা আমাকে বেধড়ক মারধর করেন। উপস্থিত লোকজন আমাকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও ধারালো অস্ত্র উচিয়ে বিভিন্ন হুমকি দেন। আর তারা যে জমি দখল করে রাস্তা বন্ধ করতে আসে তা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আমার পরিবারের সদস্যদের উপরে অন্যায়ভাবে অত্যাচার জুলুম ও নির্যাতন চালাচ্ছে তারা। আমি এর সঠিক বিচার ও প্রশাসনের কাছে তার কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত নবাব আলী, আবুল কাসেম ও তার গংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে রাস্তা বন্ধের কথা স্বীকার করেন। তবে ওহাব আলীকে মারধরের বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এবিষয়ে রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়ন্ত কুমার সাহা বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।