মো.শাহাদাত হোসেন মনু,ঝালকাঠি প্রতিনিধি: আজ ২৩ নভেম্বর। ঝালকাঠির রাজাপুর হানাদারমুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন বরিশাল জেলার রাজাপুর থানা বর্তমানে ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলা পাক হানাদার মুক্ত হয়েছিলো। ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধা ও পাকহানাদার বাহিনীর মধ্যে চলে গুলি পাল্টা গুলি। হানাদার বাহিনীর সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রাতভর চলে এই বন্ধুকযুদ্ধ। এতে পিছু হটতে বাধ্য হয় পাক হানাদার বাহিনী। রাতভর যুদ্ধ চলার পরে রাত শেষে ভোর ৪টার দিকে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে পাকবাহিনী। ৯নং সেক্টরের বরিশাল অঞলের মধ্যে সর্বপ্রথম পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয় রাজাপুর থানা। শত্রুমুক্ত হয় রাজাপুর থানা, বন্ধ হয় গণহত্যা।
২২ নভেম্বরের রাতের যুদ্ধে শহীদ হন আবদুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক এবং গুরুতর আহত হন মো. হোসেন আলীসহ কমপক্ষে ২০ জন মুক্তিযোদ্ধা। সেদিনের যুদ্ধে তিন শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেন। রাজাপুর থানা মুক্ত হওয়ার ১৫ দিন আগে পাক বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে শহীদ হন উপজেলার আঙ্গারিয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ও বাবুল হোসেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫৩ বছর অতিবাহিত হলেও রাজাপুর উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত দুটি বধ্যভূমি এবং তিনটি গণকবরসহ সাতটি স্থান আজও অবহেলিত ও অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। নিশ্চিহ্ন হতে চলেছে এসব স্থানগুলো।
বধ্যভূমিতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। বধ্যভূমি সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহুল চন্দ।