শাহীন রাজা: রাজনৈতিক পাটিগণিতে দুইয়ে, দুইয়ে, চার খুব একটা হয় না। হয় তিন হবে। না হয় পাঁচ। এই পাটিগণিতে যে দক্ষ, সেই নেতৃত্বে সফল।
রাজনৈতিক পাটিগণিতে, গাণিতিক সংখ্যা হচ্ছে জনগণ। এই সংখ্যা নির্ধারণ করবে আগামী দিনের কোন রাজনৈতিক দল এবং কার নেতৃত্বে থাকবে। হতে পারে ভুলের পাল্লায় গাণিতিক সংখ্যা বেশী। সকল বিবেচনায় জনণই শক্তি। আর সবই, কিছু সময়ের জন্য বা জাতির ক্রান্তিকাল পার।
জনগণ সাথে না থাকলে কোন ষড়যন্ত্রই সফলতা আনবে না। যেমনটা, গত ১০ আগস্ট। গত ১০ আগস্ট অধুনা পরাজিত দল সুচারু ষড়যন্ত্র বা রাজনৈতিক খেলা দিয়েছিল। কিন্তু সাধারণ জনসাধারণ সাথে না থাকায় সকল আয়োজন ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থ হয়েছে, সনাতনী সম্প্রদায়কে ব্যবহারের সাম্প্রদায়িকতার অশুভ খেলা।
সনাতনী সম্প্রদায়কে বুঝতে হবে কোন রাজনৈতিক দলের সুবিধার জন্য ব্যবহার হওয়া ঠিক নয়। এতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়। ভিন্ন সম্প্রদায়ের বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে-ও মাথায় রাখতে হবে গাণিতিক সংখ্যা-ই প্রধান। একবার বিশ্বাস চলে গেলে আর সম্প্রতি থাকে না। এ দেশ আপনার, আমার এবং সবার।
রাজধানীতে এখন ডাকাত আর সাধারণ জনগণ মুখোমুখি। প্রতিরাতেই রাজধানীর কোন না কোন জায়গায় ডাকাত হানা দিচ্ছে। এবং প্রতি জায়গাতেই সাধারণ মানুষের ধাওয়া খেয়ে ডাকাতকে পালাতে হচ্ছে। মানুষের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করে রাজনীতি ফায়দা নেয়া যায় না। এই প্রক্রিয়া জনগণ প্রত্যাখান করেছে। জনগণ সবই বুঝে কাদের ইশারায় এগুলো হচ্ছে। সুতরাং রাজনীতি করতে হলে জনগণ থেকে দুরে সরে যেয়ে না। সুস্থ চিন্তা করেন।
এ-ই যে বন্ধু প্রতিম বন্ধুগণ শোনেন, দেশে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মানুষ ঘুম হারাম করে পাহারা দিচ্ছে। তরুন প্রজন্মই মূলতঃ চালিকা শক্তি। এরা ক্ষমতা বোঝে না তবে দেশ বুঝে। দেশের মাটি এদের কাছে মায়ের মতোই মনে করে। এটা, কবিতার পঙতি বা আবেগঘন সস্তা উপন্যাস নয়। বস্তুগত বিশ্বাস। সুতরাং এদের বিরাগভাজন না হওয়ার চেষ্টা করবেন তা না হলে নিজের ঘর সামলানো দায় হয়ে যাবে।
লেখক সিনিয়র সাংবাদিক