sliderরাজনীতি

রাজনীতিতে আসা নিয়ে যা বললেন সাকিব

বিশ্বের সেরা অল রাউন্ডার এবং বাংলাদেশের জাতীয় দলের অধিনায়ক নিউইয়র্কে এক ঈদ আড্ডা অনুষ্ঠানে বলেছেন, আমেরিকা এখন আমার সেকেন্ড হোম। যে কারণে মাঝে মধ্যে আসা হয়। গত বছরও এসেছিলাম আপনাদের সাথে সময় কাটিয়েছি। এবারও এলাম। আমার খুব ভালো লাগছে। শো টাইম মিউজিক এন্ড প্লে আয়োজিত ঈদ আড্ডা ইউথ সাকিব আল হাসান অনুষ্ঠানটি গত ১৭ জুন সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের বেলাজিনো অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই শো টাইম মিউজিকের প্রেসিডেন্ট আলমগীর খান আলম শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
সাংবাদিক শামীম আল আমিনের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন বিশিষ্ট রিয়েলেটর মঈনুল ইসলাম, পিপল এন টেকের প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আবু হানিফ, কাদের মিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের মিয়া, বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম আজিজ, এনওয়াই ইন্স্যুরেন্সের প্রেসিডেন্ট শাহ নেওয়াজ, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সেলিম, রিয়েলেটর খায়রুল ইসলাম সবুজ, কামাল ভুইয়া, কাওরান বাজারের ইমরান কে ভুলু, হাজী এনাম, রিয়েলেটর আনোয়ার হোসেন, রাজনীতিবিদ হাজি এনাম, গোলাম এম হায়দার মুকুট, নাসরিন কে আহমেদ, হাসান জিলানী. ডা. বর্নালি হাসান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সাকিব আল হাসান প্রথমে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়াও তিনি সাংবাদিক ও সুধীজনদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। সাকিব আল হাসান তার বক্তব্যে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, আমেরিকা এখন আমার সেকেন্ড হোম। যে কারণে মাঝে মধ্যে আসা হয়। গত বছরও এসেছিলাম আপনাদের সাথে সময় কাটিয়েছি। এবারও এলাম। আমার খুব ভালো লাগছে। আমি এবার ঈদ করেছি অরল্যান্ডোতে। বাংলাদেশের
ক্রিকেট সম্পর্কে বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ভালো করছে আবার মাঝে মধ্যে খারাপও করছে। ভালো করলে প্রশংসা করবে, আর খারাপ করলে সমালোচনা করবে- এটাই স্বাভাবিক। আমি সমালোচনাকে অনুপ্রেরণা হিসাবে গ্রহণ করি। আপনারা সবাই যদি সমর্থন করেন তাহলে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আমরা অনেক দূর নিয়ে যেতে পারবো। আপনারা জানেন আগামী বছর বিশ্বকাপ ক্রিকেট। সেই বিশ্বকাপে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে ভালো করার।
সম্প্রতি আফগানিস্তানের সাথে হারার ব্যাপারে তিনি বলেন, সত্যি আমরা খারাপ করেছি। তবে এটাও সত্য টি টুয়ান্টি পরমেটে ওরা আমাদের চেয়ে র‌্যাঙ্কি- এ উপরে।
রাজনীতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এখন রাজনীতি নিয়ে ভাবছি না। এখন আমি ক্রিকেট নিয়ে ভাবছি। ভবিষ্যতই বলে দেবে আমি কী করব। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ভাবিনি ক্রিকেটার হবো। ছোট বেলায় ক্রিকেটের প্রতি আমার ফোকাস ছিল না। প্রতি বছর আমার স্বপ্ন পরির্তন হতো। কখনো মনে করতাম ডাক্তার হবো, আবার ভাবতাম ইঞ্জিনিয়ার হবো, আবার মনে করতাম ফুটবলার হবো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটার হয়ে গেলাম।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে স্পন্সরদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন সাকিব আল হাসান এবং কৃষ্ণাতিথির সঙ্গীতের মাধ্যমে আড্ডা শেষ হয়।
নিউইয়র্ক থেকে এনা ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button