
কামরুল ইসলাম, রাংগামাটি প্রতিনওধি: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল রাঙামাটি জেলা শাখার অবৈধ কমিটির দুর্নীতি,স্বজনপ্রীতি,কমিটি বানিজ্য,সেচ্ছাচারিতা এবং পৌর শ্রমিকদল বিলুপ্তির প্রতিবাদে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। শনিবার বিকাল ৫ ঘটিকায় রাঙামাটি বিএনপি জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সাংবাদিক সম্মেলনে পৌর শ্রমিকদলসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা শ্রমিকদলের নেতৃবৃন্দ ও শ্রমিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে বক্তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান জেলা কমিটি অবৈধভাবে গঠিত হয়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তাঁরা আরও অভিযোগ করেন,কমিটিতে স্বজনপ্রীতি,আর্থিক বানিজ্য এবং একচেটিয়া সেচ্ছাচারিতা চালু রয়েছে, যার ফলে দীর্ঘদিন ধরে পৌর শ্রমিকদল কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
বক্তারা জোর দাবি জানান, অবৈধ জেলা কমিটি দ্রুত বিলুপ্ত করে যোগ্য, ত্যাগী ও পরিশ্রমী নেতাদের সমন্বয়ে নতুন নেতৃত্ব গঠন করতে হবে। একই সঙ্গে বিলুপ্ত পৌর শ্রমিকদলকে অবিলম্বে পুনর্গঠন করে সাংগঠনিক কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত করার আহ্বান জানান তাঁরা। এই সময় উক্ত সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা সভাপতি নিজাম আকন্দ, পৌর শ্রমিকদলের সভাপতি মোঃ ইদ্রিস হাওলাদার, সাবেক জেলা শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি রহমান বাবু, সাবেক পৌর সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, কাপ্তাই উপজেলা শ্রমিকদল মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, বাঘাইছড়ি উপজেলা শ্রমিকদল মোঃ মোস্তফা, রাজস্থলী উপজেলা শ্রমিকদল মোঃ আলাউদ্দিন, শ্রমিক নেতা আবুল কালাম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ গান
জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মমতাজ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক কবির আহম্মেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাফফরের পদত্যাগ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে পৌর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক জানান, তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৯নং ওয়ার্ড শ্রমিকদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন এবং দলের দুঃসময়ে আন্দোলন-সংগ্রামে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালের ২৩ জুলাই পৌর শ্রমিকদলের ১১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির দায়িত্ব পান। এরপর থেকেই তিনি পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ধারাবাহিক কার্যক্রম পরিচালনা করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেন এবং তা ২০২৫ সালের ২৫ জানুয়ারি জেলা শ্রমিকদলের সভাপতির কাছে জমা দেন।
তবে জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নানা অজুহাতে কমিটি অনুমোদন না দিয়ে উল্টো পূর্ণাঙ্গ কমিটি না পাওয়ার অভিযোগ দেখিয়ে পৌর কমিটি বিলুপ্ত করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অসাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন, যা অব্যাহত থাকলে রাঙামাটি শ্রমিকদল নেতৃত্ব ও কর্মীবিহীন হয়ে পড়বে।
এসময় তারা কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের কাছে জেলা সভাপতি মমতাজ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক কবির আহম্মেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুজাফফরের পদত্যাগ দাবি করেন।



