sliderস্থানীয়

রমজানের শুরুতেই নাগরপুরে সবজির দাম বেড়েছে

সংবাদদাতা, নাগরপুর (টাঙ্গাইল) : করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে যাচ্ছে নাগরপুর উপজেলা প্রশাসন। কেউ দ্রব্যমূল্য নিয়ে অনিয়ম করার চেষ্টা করলে করা হচ্ছে জরিমানা। তারপরও থেমে নেই দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি।
রমজানের শুরুতেই উপজেলার কাচাঁবাজারগুলোতে বেড়েছে সবধরনের সবজির দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন পাইকারী বাজারে মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের বেশি দামে পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে। অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ রমজান আসলেই ব্যবসায়ীরা অযথা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। সবজিভেদে ৫থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি মূল্যে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন পণ্য।
শনিবার উপজেলার সদর কাচাঁ বাজার, গয়হাটা কাঁচাবাজার, ভাদ্রা, ধুবড়িয়া কাঁচাবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্বগতির এ চিত্র পাওয়া যায়।
এসব বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি করতে দেখা গেছে ৬০ টাকা কেজি দরে। অথচ দুইদিন আগে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ১৫-২০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া কাঁচাপেঁপে, টমেটো ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত দুই তিন দিন আগে ১৫ থেকে ৩০ টাকা দর বিক্রি হয়েছে এসব পণ্য। অর্থাৎ কেজিতে বেড়েছে পূর্বের তুলনায় প্রায় দ্বিগুনেরও বেশি।
দিগুনেরও বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে পটল, ধুন্দল, বরবটি, করলা, উস্তা, কচুর লতি, বেগুন, গাজর, ঢেঁড়শ, চিচিঙা সহ বিভিন্ন সবজি।
এ দিকে প্রতিকেজি পটল বিক্রি করতে দেখা গেছে ৪৫ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, কচুর লতি ৫০, করলা ৪৫ টাকা, উস্তা ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০ টাকা, মুলা ৩৫ টাকা, ধুন্দুল ও চিচিংগা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে লাউ ও জালি কুমড়া। প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়, জালি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।
বৃদ্ধি পেয়েছে সবধরণের শাকের দামও। প্রতি আঁটি লাল শাক-সাদা শাক ১৫ টাকা, লাউশাক প্রতি আঁটি ২০ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
দামবাড়া পণ্যের তালিকায় রয়েছে- পেঁয়াজ, আদা, রসুন, আলু। সপ্তাহ ব্যবধানে পণ্যগুলোর দাম ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজ-আলুতে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেছে। ১০০ টাকা দৃদ্ধি পেয়ে আদা বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকায়।
খোকন মিয়া নামে এক ক্রেতা জানান, রজমান মাস আসলেই মুনাফালোভী এক ধরণের ব্যবসায়ীরা সবপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। বাজারে সবধরনের সবজি পর্যাপ্ত থাকলেও তারা নানা অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দিবেন এটাই যেন তাদের ব্রত।
নাগরপুর বাজারের সবজি বিক্রেতা লিটন মিয়া বলেন, পাইকারি বাজারে সবজি বাড়তি থাকায় সবধরনের সবজির দাম বাড়তি। সবজির সরবরাহ বেশি হলে দাম কমে যাবে বলে তিনি জানান।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button