
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের পর এবার স্কটল্যান্ডকেও উড়িয়ে দিল বাংলাদেশের যুবারা। মঙ্গলবার স্কটিশ যুবাদের ৭ উইকেটে হারিয়ে আসরে টানা দুই জয় তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
পচেফস্ট্রমে ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচটিতে টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিল স্কটল্যান্ড। বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল হাসানের হ্যাটট্রিকে মাত্র ৮৯ রানে গুটিয়ে যায় দলটি। জবাবে বাংলাদেশ ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬.৪ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
এর আগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে বৃষ্টি আইনে ৯ উইকেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। টানা দুই জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের সমীকরণ অনেকটাই সহজ হয়ে গেল বাংলাদেশের জন্য। বুধবার পাকিস্তানের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে হারলে এক ম্যাচ হাতে থাকতেই শেষ আট নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের।
৯০ রানের ছোট্ট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার তানজিদ হাসানের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে যিনি ১০ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। তিন নম্বরে খেলতে নেমে শামীম হাসানও ১০ রানে বিদায় নেন। ১৮ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ে ম্যাচের ম্যাচসেরা পারভেজ হোসেন ইমন এদিনও ঝোড়ো শুরু করেছিলেন। তবে তিনিও ১৫ বলে ২ টি করে চার ও ছক্কায় ২৫ রানে থামেন। ৪.২ ওভারে ৩৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশের যুবারা।
তৌহিদ হৃদয় ও মাহমুদুল হাসান জয়ের চতুর্থ উইকেট জুটি এরপর আর কোনো বিপদ হতে দেননি। মাহমুদুল সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩৫ রান করেন। ৪৮ বলে ৪ চারে নিজের ইনিংস সাজান তিনি।
তৌহিদ হৃদয় অপরাজিত ছিলেন ১৭ রানে। ২৭ বলে ১ চারে নিজের ইনিংস সাজান তিনি। স্কটল্যান্ডের পক্ষে ৩টি উইকেটই নিয়েছেন শন ফিশার-কিওগ।
এর আগে বাংলাদেশি বোলারদের তোপে দাঁড়াতেই পারেনি স্কটল্যান্ডর ব্যাটাররা। ২৪তম ওভারে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পান বাংলাদেশি স্পিনার রকিবুল। যা এবারের আসরের প্রথম হ্যাটট্রিক। ওভারের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে রকিবুল ফেরান কিস সাজ্জাদ, লেলি রোবার্টসন ও চার্লি পিটকে।
পরে আরো একটি উইকেট নেন ১৭ বছর বয়সী রকিবুল। মোট ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের যুবাদের পক্ষে এদিন সবচেয়ে সফল বোলার রকিবুল।
যুব বিশ্বকাপের মঞ্চে বাংলাদেশের পক্ষে এটিই অবশ্য প্রথম হ্যাটট্রিক নয়। ২০১০ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন কামরুল ইসলাম রাব্বী। যিনি এখন জাতীয় দলে খেলেন। সব মিলে হ্যাটট্রিক রয়েছে আরো বেশ কটি।
রকিবুলের হ্যাটট্রিকের আগেই অবশ্য ৫২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল স্কটল্যান্ড। শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিবের তোপে ভেঙে যায় দলটির টপ অর্ডার। শরিফুল ও সাকিব দুজনই নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন উজাইর শাহ। ম্যাচসেরা হয়েছেন রকিবুল।
শুক্রবার গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।