
রংপুর প্রতিনিধি : রংপুর সরকারী বেগম রোকেয়া কলেজের প্রধান সহকারী সায়েম রহমানের ক্ষমতার দাপটে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। তার বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে কলেজের
কর্মচারীদের নানান ভাবে হয়রানীসহ নারী কর্মচারীদের সাথে অশালীন আচরণের অভিযোগ উঠেছে। এরই প্রতিবাদে ওই প্রধান সহকারীর অপসারণের দাবীতে সপ্তাহব্যাপী আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কর্মচারীরা। তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় কর্মচারীদের হুমকি দেয়ায় কলেজ ক্যাম্পাসে কর্মচারীদের মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
কর্মচারীদের অভিযোগ- প্রধান সহকারী সায়েম রহমান স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের মদদে কলেজে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এর প্রতিবাদ করলেই শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীদের সাথে অশোভন আচরণ করেন তিনি। জানা গেছে- কলেজের সাবেক এক অধ্যক্ষের সাথে সখ্যতার সুবাদে তিনি নানা রকম অবৈধ সুবিধা নিচ্ছেন। একারণে তার অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কর্মচারীরা। কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা রফিকুল ইসলাম জানান- সায়েম রহমানের অপসারণ চেয়ে আমরা কলেজের অধ্যক্ষের কাছে আবেদন করেছি। কিন্তু তাকে শোকজ ছাড়া এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে অন্য কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তিনি বলেন, আমরা তার দ্রুত অপসারণ চাই। তাকে অপসারণ না করলে আমরা অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হবো।
শিক্ষকদের অভিযোগ- সায়েম এর আগে জেলা শিক্ষা অফিসে ও রংপুর সরকারী কলেজে কর্মরত ছিলেন। একই অভিযোগে ওই দু’জায়গা থেকে তাকে বিতাড়িত করা হয়েছে। এব্যপারে কলেজের অধ্যক্ষ চিন্ময় বড়ৈ জানান, সায়েমের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগগুলো একাডেমি কাউন্সিলে আলোচনার পর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রধান সহকরী সায়েম তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অ¯^ীকার করে বলেন, কর্মচারী- শিক্ষক-ছাত্রীদের কথামত কাজ না করায় আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কোন অনিয়মের সাথে জড়িত নই।