sliderস্থানীয়

রংপুরে বিদ্যুৎস্পর্শে আহত যুবক মৃত্যুশয্যায়, মামলা নিতে পুলিশের গরিমশি

রংপুর ব্যুরোঃ রংপুরের গঙ্গাচড়ায় রাজমিস্ত্রি কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে সুজন নামের এক যুবক মৃত্যুশয্যায় রয়েছেন।
গত ৪ জুন দুপুরে উপজেলার গোকুলপুর আলোয়াকুড়ি গ্রামের মোহাম্মদ মনজুরুল খানের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। সুজন রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়নের গোকুলপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে। আহত সুজন বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনায় রংপুর সদর কোতোয়ালি অভিযোগ করা হলেও মামলাটি নিতে গরিমশি করছেন পুলিশ। আহত পরিবারের দাবি কাজ করার সময় বাড়ি মালিকের অবহেলায় ঘটনাটি ঘটেছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, গোকুলপুর আলুয়াকুড়ি গ্রামের মঞ্জুরুল খানের বাড়িতে প্রায় এক মাসেরও অধিক সময় ধরে রাজমিস্ত্রি হেলপার হিসেবে কাজ করছে সুজন। ওই বাড়িতে তামাকের গোডাউন নির্মাণ কাজ চলছিল। তবে ওই বাড়ির উপর দিয়ে ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক তারের লাইন রয়েছে। ঘটনার দিন নির্মাণাধীন ওয়ালে বাড়ির মালিক মঞ্জুরুল খাঁন সুজনকে পানি দেওয়ার জন্য উপরে উঠতে বলে। এতে
শ্রমিক সুজন অপারগতা প্রকাশ করলেও বাড়ির মালিক মঞ্জুরুলের ধমকে তিনি উঠতে বাধ্য হন। পানি দেওয়ার সময় গোডাউনের উপরের ১১ হাজার ভোল্টের তারে বিদ্যুৎস্পর্শ হয়ে সুজন লোহার এঙ্গেলে পড়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। পরে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনার পর থেকে গোডাউন মালিক মঞ্জুরুল খান আহত সুজনের কোন খোঁজ খবর নেননি। পরে আহত যুবকের বাবা রংপুর কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু ঘটনার এক মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত মামলাটি নেয়নি পুলিশ।
এদিকে ঘটনার দিন কর্মস্থলে উপস্থিত সুজনের সহকর্মী শাহ আলম ও রাশেদুল ইসলাম বলেন, গোডাউন মালিকের অবহেলার কারণে সুজন আজ মৃত্যুশয্যায় পাঞ্জা লড়ছে। আমরা এর বিচার চাই।
এ ঘটনায় রংপুর সদর কোতোয়ালি থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বিদ্যুৎস্পর্শে আহত সুজনের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা বিষয়টি মীমাংসার জন্য বসবেন বলে জানিয়েছেন। তবে তারা সমাধান না করলে মামলা নেওয়া হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button