sliderস্থানীয়

রংপুরে বিক্রি হচ্ছে হাড়িভাঙ্গা আম

আব্দুর রহমান রাসেল,রংপুর ব্যুরো : রংপুর অঞ্চলে কৃষি বিভাগের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী গত ১৫ জুন থেকে উঠতে শুরু করেছে বিশ্বখ্যাত,স্বাদে গন্ধে অতুলনীয় সুমিষ্ট আশবিহীন রসালো হাড়িভাঙ্গা আম। ইতোমধ্যে রংপুরসহ জেলার আশপাশের জেলা ও উপজেলাগুলোতেও এখন পাওয়া যাচ্ছে এ আম।
আজ শনিবার দুপুরে সরেজমিনে রংপুরের টার্মিনাল,মর্ডান মোড়,লালবাগ রেল গেট, সিটি বাজারসহ মিঠাপুকুরের কয়েকটি ছোট বড় নির্দিষ্ট স্থানে পাওয়া হাড়িভাঙ্গার বাজার ঘুরে দেখাগেছে ভ্যানে বা শেডের উপরে ক্যারেটে করে থরে থরে সাজিয়ে রেখে হাকডাকে বিক্রি হচ্ছে কাচা-পাকা এ আম। এসব বাজারে কাচা আম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে আর পাকা প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি।
লালবাগ রেলগেটে ক্যারেটে করে পাইকারী ও খুচরা আম বিক্রেতা আলতাব বলেন,গত এক সপ্তাহ থেকে বাগানিরা অল্প করে আম ভাঙ্গলেও সরকারের বেধে দেওয়া ১৫ তারিখের পর থেকে পুরোদমে বাগান থেকে আম ছেড়া শুরু হয়েছে। সেখান থেকে ভোর বেলা গিয়ে বাগানিদের কাছ থেকে পাইকারী দরে আম কিনে এনে এখানে কাচা আমটি সাইজ অনুযায়ী ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। এখনও পুরোদমে আম বেচা কেনা শুরু হয়নি। শুরু হলে কিছুটা দাম কম হতে পারে।
বাহিরের পাইকার আসার ব্যাপারে আমজাদ হোসেন বলেন, সবেমাত্র আম বাগান থেকে ছেড়া শুরু হয়েছে এখনও দূরের জেলার বড় বড় পাইকাররা পুরোদমে আসেনি তবে অনেকে যোগাযোগ করছে দুই একদিনের মধ্যে এই এলাকায় ট্রাক নিয়ে তারা ঢুকে পরবে। তখন বাজার হয়তো দাম আর একটু বাড়তেও পারে, কারন গতবারের তুলনায় এবার একটু ফলন কম।
লাগবাগ রেলগেটে আম কিনতে আসা মালিহা নামের এক চাকুরিজীবী বলেন, হাড়িভাঙ্গা আম বাজারে নামতে শুরু করেছে এই খবরটি বাসায় আমার ছেলে মেয়েরা ফেসবুকে দেখেছে। তাদের বায়না আজকেই আম কিনে আনতে হবে তাই এসেছি। কাচা আম কিনলাম ৬০ টাকা করে ৩ কেজি আর ২ কেজি পাকা আম নিয়েছি ৪৫ টাকা কেজি করে।
হাড়িভাঙ্গা আমের গোড়াপত্তনকারী মৃত নফল উদ্দিন পাইকারের ছেলে আমজাদ হোসেন বলেন, দুই একরের দুটি বাগান ৫ বছরের জন্য লিজ নিয়ে এবার পরিচর্যা শুরু করেছি। এবার শুরুতে কয়েক দফায় শীলাবৃষ্টি আর বৈরি আবহাওয়ার কারনে গাছে গাছে আমের সংখ্যা গতবারের তুলনায় ২০ শতাংশ কম কিন্তু ফলের সাইজ বেশ ভালো। সে তুলনায় এবার আমের দাম একটু বেশি থাকতে পারে। গত দুই দিন থেকে আম ছিড়তে শুরু করেছি। আমার বাগান থেকে পাইকার এসে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
রংপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল বলেন, এ বছর জেলায় প্রায় ১ হাজার ৮৮৭ হেক্টর জমিতে রয়েছে হাঁড়িভাঙ্গা আম। যার উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ২৯ হাজার ৪৩৬ মেট্রিক টন। আবহাওয়া ভালো থাকলে এ আম বিক্রি করে প্রায় দেড় থেকে ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা করার আশা করছেন এ জেলার আম চাষিরা।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button