sliderশিরোনামসাময়িকি

পাঠকনন্দিত তিনটি বই এবং পাঠকের প্রতিক্রিয়া

তরুন লেখক মোঃ হাফিজ উদ্দীনের তিনটি বইয়ের রিভিউ লিখে ফেসবুকে পোষ্ট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের সুপর্ণা বর্মন। আসাধারন রিভিউটি পতাকার পাঠকদের জন্য সাময়িকি পাতায় পত্রস্থ করা হলো।
প্রতিটি পাঠকের কাছেই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় উপহার হলো বই । শ্রদ্ধেয় লেখকের কাছ থেকে তিনটি বই উপহার পেয়ে দারুন উৎসাহের সাথে কিন্তু খুবই ধীর গতিতে বই গুলো পড়েছি । তিনটি বইই অসাধারন ।


(১) আইজুদ্দির রোজনামচা
লেখকঃ মোঃ হাফিজ উদ্দীন
প্রথম প্রকাশঃ ২০১৮ অমর একুশে গ্রন্থমেলা
সাহিত্য জগতের এক নতুন উজ্জ্বল তারকা , বুদ্ধিবৃত্তিক , উদ্ভাবনী ও অসম্ভব প্রতিভাবান একজন লেখক জনাব হাফিজ উদ্দীন । ” আইজুদ্দির রোজনামচা ” লেখকের প্রথম উপন্যাস বিশ্বাস করা যায় না । খুবই সহজ সরল ভাষায় দৈনন্দিন জীবনের কাহিনী অত্যন্ত নিপুন হাতে লেখা বইটি ।
এই উপন্যাসের নায়ক আইজুদ্দি এমন একজন মানুষ যিনি সমাজের কল্যানে যে কোন পরিস্থিতিতে নিজেকে বিলিয়ে দেন । আইজুদ্দি এক অসাধারন ব্যক্তিত্বের মানুষ । তার মাঝে আছে রসবোধ , অতিথি পরায়ণতা । স্ত্রীর প্রতি অগাধ ভালোবাসা , নেশা গ্রস্থ , ঘুষখোর মানুষকে সঠিক পথে আনার তৎপরতা আছে তার মাঝে । সকলের দুঃখ কষ্টে , আনন্দে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার ক্ষমতা আইজুদ্দির মাঝেই দেখা যায় ।
উপন্যাস পড়ার অভ্যাস যাদের আছে তারা বুঝতে পারবেন এর প্রতিটি চরিত্র কত সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে । শেষ হয়েও যেন হলো না শেষ , আরো অনেক কিছু জানার আছে । তাই আইজুদ্দি যতদিন বেঁচে আছে আশা করি ততদিন চলবে এই রোজনামচা ।
২) ঝড়া পাতার গল্পঃ
প্রথম প্রকাশঃ ২০১৯ অমর একুশে গ্রন্থমেলা
মোট আটটি ছোট ছোট গল্প নিয়ে বইটি লেখা । বইটি পড়লে বোঝা যায় লেখকের রসবোধ গগনচুম্বী । শৈল্পিক লেখা , ভাব প্রকাশে লেখক ছিলেন সাবলীল । পড়ে মনেই হবে না চরিত্র গুলো কাল্পনিক । বরং মনে হয়েছে লেখকের জীবনে ঘটে যাওয়া এক একটা কাহিনী ।
৩) কড়া নেড়ে যাইঃ
প্রথম প্রকাশঃ ২০১৯ অমর একুশে গ্রন্থমেলা
বইটির শিরোনাম ও প্রচ্ছদ দেখলে মনে হবে যেন কোন রহস্যমূলক বই । আসলে তা নয় , এখানে ” কড়া নেড়ে যাই ” বলতে মানুষের বিবেকের কড়া নাড়ার কথা বলা হয়েছে । এটি একটি শিক্ষামূলক , নীতিবাক্য যুক্ত প্রবন্ধের বই । এতে নেই মাথা এলোমেলো করে দেয়ার মতো কোন বাক্যরীতি তাই পড়তে গিয়ে কোন সমস্যার সন্মুখীন হতে হয় না । এক একটা নীতি কথা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা এই বইটি পড়লে অনুধাবন করা যায় । সেই সাথে বোঝা যায় যে, প্রতিভার বীজ সবার মাঝেই লুকিয়ে থাকে শুধু প্রয়োজন উদ্ভাসিত করার । বইটি পড়ে যদি পাঁচজন পাঠকেরও বিবেকের কড়া নেড়ে উঠে তাতেই লেখকের পরিশ্রম সফল ।
সব মিলিয়ে বলা যায় যে তিনটি বইই লেখকের অনবদ্য সৃষ্টি । বই গুলো পড়লে পাঠকের মনে সাড়া দেবেই ।

লেখক : সুপর্ণা বর্মণ/ফেসবুক বন্ধু। পশ্চিমবঙ্গ।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button