
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির চেয়ারম্যান ইমরান খান নওয়াজ শরিফকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। আগামী নির্বাচনে তিনি নওয়াজের দল মুসলিম লীগ-নওয়াজের বিরুদ্ধে দেশটির যেকোনো আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। খবর ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের।
ইমরান খানের চ্যালেঞ্জটি নিজের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেল থেকে ভিডিও আকারে পোস্ট করা হয়েছে।
পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আগস্টের শুরু থেকে সাইফার মামলায় রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে রয়েছেন এবং তার গ্রেপ্তারের আগে এই ভিডিওটি রেকর্ড করা হয়েছিল।
ভিডিওতে ইমরান খান বলেছেন, ‘আমাকে কারাগারে পাঠানো হলে এবং পিটিআই নির্মূল হয়ে গেলে পাকিস্তানে ফিরে আসবেন নওয়াজ শরিফ। তিনি এই সুযোগের আশায় আছেন। নওয়াজ এবং কোম্পানির বিরুদ্ধে সমস্ত দুর্নীতির মামলা ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে।’
চার বছর লন্ডনে স্ব-আরোপিত নির্বাসন কাটিয়ে নওয়াজের দেশে ফেরার পর এই ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে। ২১ অক্টোবর পাকিস্তানে ফিরে আসেন নওয়াজ।
ভিডিওতে খান আরও বলেছেন, ‘নির্বাচনে যাওয়ার আগে নওয়াজ এই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চেয়েছিলেন। নওয়াজ যেকোনো আসনেই আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। আমি তাকে আশ্বস্ত করছি, আমি সেই নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণাও চালাব না। আমি আপনাদের বলব পাকিস্তানি জনগণের অনুভূতি পরিবর্তিত হয়েছে কারণ দেশের লোকেরা কখনই এই জাতীয় লোকদের ভোট দেবে না। সোশ্যাল মিডিয়া মানুষকে বদলে দিয়েছে। সেই দিনগুলো চলে গেছে যখন (সামরিক) সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতায় যারা ছিল তারাই নির্বাচিত হতো।’
এক্স-এ করা পোস্টে ইমরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পিটিআই চেয়ারম্যান ইতোমধ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ‘লন্ডন পরিকল্পনা’ সম্পর্কে জাতিকে অবহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘পলাতক নওয়াজ শরিফের প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে পরিকল্পনাটি প্রত্যাশিতভাবে উন্মোচিত হবে। রাষ্ট্রীয় প্রোটোকল, জনসম্পদ এবং একজন আসামির সুবিধার্থে জনসাধারণের অর্থের ব্যবহার জনগণের মতামতকে প্রভাবিত করতে পারে না যারা অবিলম্বে, অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের চেয়ে বেশি কিছু চায় না।’
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ঘোষণা করেছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে, তবে কোনো নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।
বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) অভিযোগ করেছে, নওয়াজ যে সমস্ত মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন তাতে আদালত থেকে ক্লিন চিট পেলে ইসিপি নির্বাচনের তারিখ দেবে। পিপিপি এবং পিটিআই উভয়ই নওয়াজকে সামরিক সংস্থার ‘নিউ লাডলা’ (প্রিয়) বলে অভিহিত করেছে।
খানের দল বলেছে, নওয়াজ চার বছরের নির্বাসনের পর দেশে ফিরে এসেছেন সামরিক সংস্থার আশীর্বাদের কারণে যারা তাকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বানানোর আশ্বাস দিয়েছে।