sliderমহানগরশিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রে স্ত্রীর নামে একটি বাড়ি আছে : ওয়াসা এমডি

পতাকা ডেস্ক : ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‌‘সোমবার (৯ জানুয়ারি) একটি দৈনিকে আমার নামে যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এটা ডাহা মিথ্যা কথা। এই প্রতিবেদনের কোনো সত্যতা নেই। এই ১৪টি বাড়ির মধ্যে শুধুমাত্র একটি বাড়ি আমার স্ত্রীর নামে কেনা। বাকি কোনোটিই আমার বা আমার পরিবারের কারও নয়।’

মঙ্গলবার কারওয়ান বাজার ওয়াসা ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তাকসিম এ খান বলেন, ‘আমার স্ত্রী-সন্তান সেখানে ওয়েল স্টাবলিস্ট, তাই সেখানে একটি বাড়ি কেনা খুব অসুবিধার কিছু নয়। আমার স্ত্রীর নামেই ওই একটা বাড়ি আছে। সেটাকেও বাড়ি বলা যাবে না, এটা একটা অ্যাপার্টমেন্ট।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই প্রতিবেদনের সবচেয়ে হাস্যকর বিষয় হচ্ছে, তারা যেগুলো দিয়েছে। আপনি ইন্টারনেটে আমাদের নাম সার্চ করলে দেখতে পারবেন যে আমি কোথায় ছিলাম এবং কী করেছি। আমার পরিবার ওখানে ভাড়া থাকার সুবাদে সেখানকার ৫টি বাড়ির ভাড়াটিয়ার তালিকায় আমাদের নাম আছে। বিষয়টি যে কেউ খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন।’

ওয়াসার এমডি বলেন, বিভিন্ন সময় আমাকে নিয়ে এমন নানান রিপোর্ট এসেছে। কিন্তু এগুলো সব মিথ্যা তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। কাজেই এগুলো পুরোটাই অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যারা ওয়াসা থেকে অনৈতিক সুবিধা পায়নি বা পাচ্ছে না তারাই মূলত এসব করিয়ে থাকে।

উল্লেখ্য, গতকাল তাকসিম এ খানের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ির দুর্নীতির বিষয়ে দুর্নীতি বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) জোরেশোরে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

সোমবার এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিকভাবে এ আদেশ দেন।

এ সময় দুদক দুর্নীতির বিষয়ে কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আদালতে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনেন দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।

এ দিন একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ওয়াসার তাকসিমের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ি!’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি এখনো প্রতিবেদনটি পড়িনি। অভিযোগের কিছু শক্ত ভিত্তি থাকতে পারে।’

তাকসিমের বিরুদ্ধে দুদকের কাছে পৃথক তিনটি তদন্ত বিচারাধীন রয়েছে।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘চলমান তদন্তে নতুন অভিযোগ যোগ করা হবে। আলাদা কোনো তদন্ত শুরু করার প্রয়োজন নেই।’

তিনি বলেন, যদি সর্বশেষ তথ্যের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যের প্রয়োজন হয়, আমরা সাহায্য চাইব।

যুক্তরাষ্ট্রে তাকসিমের বাড়ি-গাড়িসহ অঢেল সম্পদ থাকলেও দেশে তার কোনো সম্পত্তি নেই। গুলশান-২-এর ৫৫ নম্বর সড়কে সরকারি বাসভবনে তিনি থাকেন না। তিনি থাকেন নয়া পল্টনে, শ্বশুরবাড়িতে।

২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে নিয়োগ পান প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। এরপর ধাপে ধাপে সময় বাড়িয়ে তিনি এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। বিতর্কিত তাকসিম এ খানের পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রেও বিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button