
জাহিদ হাসান,শার্শা প্রতিিনিধি : শার্শা থানার নাভারণ বাজারস্থ তালেব প্লাজার সামনে থেকে ইজিবাইক চুরির মামলায় হোতা তোরাব আটক হলেও একই সাথে তার অপর সহযোগি চোর নাছির @ অন্তর পুলিশের হাতে আটক হলেও অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
যশোর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অবান্তিকা রায়ের নিকট জবান বন্দীতে আটক তোরাব আলী জানায়, গত ১১ই (জানুয়ারি) বুধবার রাতে নাভারণ তালেব প্লাজার সামনে থেকে আমি তোরাব ও নাছির @ অন্তর মিলে একটি সবুজ রংয়ের ইজিবাইক চুরি করি। ঘটনার দুই দিন পর আমরা দুজন মিলে ভ্যানে করে ইজিবাইক থেকে ব্যাটারী খুলে যশোর নিউ মার্কেটে বিক্রি করতে গেলে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা এ এস আই জাহিদ আমাদের দুই জনকে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায় এবং পরে নাছির @ (অন্তর) কে ছেড়ে দেয়।
মামলার তদন্ত সূত্রে জানা যায়, গত ১১ তারিখে নাভারণ তালেবপ্লাজার সামনে থেকে বেনাপোল পোড়াবাড়ি গ্রামের ইজিবাইক চালক মাহাবুরের ইজিবাইকটি চুরি হয়ে গেলে তিনি শার্শা থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের দুই দিন পর ১৩ই (জানুয়ারি) তারিখে ইজিবাইক চোররা ইজিবাইকের ৫টি ব্যাটারী যশোর নিউমার্কেট এলাকায় বিক্রি করতে গেলে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ি কর্তৃক দুই চোর সহ ৫টি ব্যাটারী আটক হয়। আটককৃত আসামীরা হলো বেনাপোল পৌরসভার ছোটআঁচড়া পূর্বপাড়া গ্রামের মোঃ নুর রহমানের ছেলে তোরাব আলী যার মামলা নং-০৭,তারিখ-১৩/০১/২০২৩। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে ইজিবাইক চুরির সহযোগী একই গ্রামের মোঃ মনির হোসেন ছেলে নাছির @ অন্তরকে অর্থ বাণিজ্য করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা এ এস আই জাহিদ জানান, গত ১৩ তারিখে উপশহরের স্থানীয় লোকজন ইজিবাইকের চোরাই ০৫টি ব্যাটারি সহ দুই জনকে ধরে রেখে আমাকে জানালে আমি তাদেরকে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসি। পরে আসামী নাছির @ (অন্তর) এর বয়স কম হওয়ায় তার পরিবার আকুতি মিনতি করলে আমি তার বয়স কম দেখে তাকে ছেড়ে দেই।