sliderস্থানীয়

যশোরের পাঁচ সূর্য সন্তানের মৃত্যু দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন

স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ যশোরের পাঁচ সূর্যসন্তান শহীদ আসাদ, তোজো, শান্তি, মানিক ও ফজলুর-এর ৫৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার চিনেটোলায় অবস্থিত শহীদ সমাধিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

শহীদ কমরেডদের স্মরণে আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর)সকাল ১০ টায় শহীদ বিপ্লবী স্মৃতিরক্ষা কমিটির উদ্যোগে চিনেটোলায় শহীদ সমাধিতে স্মৃতিরক্ষা কমিটি, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ যশোর জেলা কমিটি, মনিরামপুর উপজেলা কমিটি ও শহীদ আসাদ স্মৃতি সংঘর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

শহীদ বিপ্লবী স্মৃতিরক্ষা কমিটির পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্মৃতিরক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিঃ রুহুল আমিন, কমরেড নাজিমউদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড গাজী আব্দুল হামিদ, অধ্যাপক মফিজুর রহমান রুন্নু, আবুল বাশার সাইফুদ্দৌলা, অধ্যক্ষ মুস্তাক হোসেন শিম্বা, অহেদুর রহমান ডেল্টা, কমরেড সখিনা বেগম দিপ্তি, কমরেড পলাশ বিশ্বাস, কমরেড সনৎ কুমার হরি, শেখ আলাউদ্দিন, কমরেড সিরাজুল ইসলাম ও প্রাণে বেঁচে যাওয়া সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ যশোর জেলা কমিটির পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা নেতা কমরেড নাজিমউদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড গাজী আব্দুল হামিদ, কমরেড সখিনা বেগম, কমরেড পলাশ বিশ্বাস, কমরেড সনৎ কুমার হরি,শেখ আলাউদ্দিন, কমরেড সিরাজুল ইসলাম, কমরেড আব্দুল আজিজ প্রমুখ। বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ মনিরামপুর উপজেলার পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কমরেড গাজী আব্দুল হামিদ, কমরেড সিরাজুল ইসলাম, কমরেড আব্দুল আজিজ প্রমুখ। শহীদ আসাদ স্মৃতি সংঘের পক্ষে আবুল বাশার সাইফুদৌল্লা, অহেদুর রহমান ডেল্টা প্রমুখ।

উল্লেখ্য ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যশোরের মণিরামপুরের চিনেটোলা বাজারের নিকট রাজারকারদের হাতে দেশমাতৃকার বীরসন্তানেরা আটক হন। তাদের বন্দী অবস্থায় চিনেটোলা বাজারে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়া হয়। কমরেড সিরাজ গুলি করার আগেই নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বেঁচে যান। পাঁচ শহীদের মরদেহ পরে দিন নদী থেকে তুলে নদী পাড়ে গণকবর দেন স্থানীয়রা।

পাঁচ শহীদই ছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের (এম এল) নিয়মিত বাহিনীর সদস্য। যারা ৭১ সালের এপ্রিল মাস থেকে মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত মণিরামপুর, কেশবপুর অঞ্চলে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকারদেরকে ব্যতিব্যস্ত রেখেছিলেন একের পর এক গেরিলা হামলা চালিয়ে।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button