যমুনার চরাঞ্চলে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা

সংবাদদাতা, (শাহজাদপুর) সিরাজগঞ্জ : করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পৌর এলাকা সহ ১৩টি ইউনিয়নের প্রায় সব হাট-বাজারে দোকানপাট খোলা রেখে বেচাকেনা চলছে।
উপজেলার সনাতনী ও গালা ইউনিয়নের যমুনার চরাঞ্চলের হাট-বাজারে এ অবস্থা সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা গেছে।
শনিবার যমুনা নদীর চরে অবস্থিত সনাতনী ইউনিয়নের শ্রীপুর, ছোট চানতারা, বড় চানতারা, বানতিয়ার, কুরসি হাট-বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সব চা স্টল, মুদি দোকান, দরজির দোকান, মাছের দোকান, সেলুন, হোটেল, সারের দোকান, কসমেটিকস দোকান, চাল-ডালের দোকান, হার্ডওয়্যারের দোকান, ওয়ার্কশপ থেকে শুরু করে সব ধরনের দোকান খোলা রয়েছে।
এ সব দোকানে আগের চেয়ে আরও বেশি ক্রেতারা ভির করে ক্রয় করছেন। শহর থেকে ফেরা লোকে সরগরম হয়ে উঠেছে এ সব হাট-বাজার।
বাজারের চা স্টলে দেখা যায় স্থানীয়দের সঙ্গে শহর থেকে গার্মেন্টস ফেরত শত শত শ্রমিক গা ঘেঁষে বসে এক সঙ্গে চা-পান সিগারেট খাচ্ছে। এর মধ্যে ছোট চানতারা বাজারে ৩ জন গ্রামপুলিশের দোকানও রয়েছে। শহর থেকে লোক ফেরায় পথে ঘাটে আগের চেয়ে লোক সমাগম বেড়েছে।
এলাকায় সর্দি, কাশি ও ভাইরাস জ্বরের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। বিশেষ করে, শিশুরা এ সব রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। ফলে এ সব এলাকায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
এ ছাড়া চরাঞ্চলের বেতকান্দি, শ্রীফলতলা, ডায়া, সরিষাকোল, তালগাছি, বনগ্রাম, বাঘবাড়ি, পোতাজিয়া, খুকনি, আরকান্দি, নগরডালা, ভেড়াকোলা, কাশিপুর, বর্ণিয়া, পোরজনা, জামিরতা হাট-বাজার পুরোদমে চলছে।
এ বিষয়ে সনাতনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বলেন, দোকানপাট বন্ধ রাখার জন্য ও এলাকাবাসীকে ঘরে থাকার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। কিন্তু এলাকার লোকজন ও দোকানদাররা তা কিছুতেই মানছেন না। এ ব্যাপারে পুলিশ ও প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, চরাঞ্চলের গ্রামে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার তেমন কোন আশঙ্কা নেই। তারপরেও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. শামসুজ্জোহা বলেন, এটি অবশ্যই বিপজ্জনক। তাই প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।