sliderস্থানীয়

মোহনপুরে শতবর্ষী দাদীর ১০ বিঘা জমি লিখে নিয়ে নির্যাতন

মোহনপুর প্রতিনিধি: রাজশাহীর মোহনপুরে জালিয়াতি করে জমি লিখে নেওয়ার পর বৃদ্ধাকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বৃদ্ধার ছোট ছেলে ইউসুফ আলী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মোহনপুর উপজেলার রায়ঘাটি ইউনিয়নের লালইচ গ্রামের আনিছুর রহমানের স্ত্রী সারেজান বেওয়া (১০৫) এর কাছ থেকে কৌশলে তার বড় ছেলে ইব্রাহীমের ১ম পুত্র ও বৃদ্ধার নাতি ইয়াকুব আলী মিলন (৩০) অবৈধভাবে কৌশলে প্রায় ১০ বিঘা জমি নিজ নামে লিখে নেয়। উল্লেখ্য, গত ২০২১ সালে ইয়াকুব আলী তার দাদীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার নাম করে বাহিরে নিয়ে গিয়ে ভুল বুঝিয়ে এ জমি লিখে নেয়। পরে এই জমির মধ্য থেকে প্রায় দেড় বিঘার মতো জমি ১২ লক্ষ টাকায় অন্যত্র বিক্রয় করে সে। ইয়াকুব তার বৃদ্ধা দাদির দায়িত্ব নেওয়ার কথা থাকলেও সে আর দাদির প্রতি দায়িত্ব পালন করছে না বরং তার দাদীর উপর অমানবিক অত্যাচার ও শারীরিক নির্যাতন করছে। এমন নির্যাতন করার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। অপরদিকে বৃদ্ধার ছেলে ইউসুফ আলী বৃদ্ধ মায়ের এ নির্যাতনের বিষয়টি সহ্য করতে না পারায়, সে এই অববর্ণীয় নির্যাতন থেকে রেহায় ও দখলীয় সম্পতি বৃদ্ধা মাকে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং অনুলিপি জমা দিয়েছেন মোহনপুর থানায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিবাদী ইয়াকুব আলী মিলন (৩০) বলেন, ঘটনার দিন গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে আমি বাসায় ছিলাম না। সে সময় শতবর্ষী দাদী আমার চাচার বাড়িতে যাওয়ার জন্য বের হলে পথের মাঝে এরকম অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটায় আমার মা এবং আমার স্ত্রী। বাসায় এসে ঘটনাটি জানার সাথে সাথে আমি আমার মা এবং স্ত্রীকে নিষেধ করেছি ভবিষ্যতে যেন দাদির সঙ্গে এধরণের আচরণ করা না হয়। তারা কথা দিয়েছে আর কোনদিন এ ধরনের আচরণ করবে না। আর দাদি আমাকে ভালোবেসে তার নিজের ১০ বিঘা জমি আমার নামে লিখে দিয়েছে। আমি কোনভাবে জোর করে দাদির জমি রেজিস্ট্রি করে নেইনি। আর দাদির দায়-দায়িত্ব আমাকে নিতে হবে এমন কোন কথা হয়নি কখনো।

এ বিষয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button