শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরের নালিতাবাড়ীর গারো পাহাড়ের ধানখেতে জেনারেটরের তারে জড়িয়ে মৃত হাতিকে কবর দেওয়া হয়েছে শুক্রবার বিকালে। ওই স্থানে প্রতি রাতেই অবস্থান করেছে ৩০-৩৫টি বন্যহাতির পাল। হাতির ডাক-চিৎকারে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
হাতির তাণ্ডবে গত রাতে (রোববার) এলাকাবাসী আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। এছাড়াও আশপাশের ধানখেতে তাণ্ডব চালিয়ে নষ্ট করেছে আরও সাত থেকে আট একর জমির আমন ধানের ফসল। এলাকাবাসী ধানের আশা ছেড়ে দিয়ে এখন রাত জেগে বাড়ি-ঘর পাহারা দিচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে বাতকুঁচি টিলাপাড়া গ্রামে ধানখেতে কৃষকদের দেওয়া জেনারেটরের তারে জড়িয়ে একটি বন্যহাতির মৃত্যু হয়। পরের দিন শুক্রবার থেকে ওই হাতির দলে আরও কয়েকটি হাতি যোগ দিয়ে এখন দিনের বেলাতেও তাণ্ডব চালাচ্ছে। প্রায় ৭ থেকে ৮ একর জমির ধানসহ নষ্ট করেছে প্রায় তিন একর সবজি ক্ষেত। দিন-রাত হাতির পাল ওই এলাকাটিতে চষে বেড়াচ্ছে।
পোড়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর ফারুক বলেন, হাতিটিকে মাটিচাপা দেওয়ার পর শুক্রবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত হাতিগুলো বাতকুঁচি টিলাপাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। হাতিগুলো পাগলের মত এলাকা তছনছ করছে। এলাকার সবাই এখন ধানখেত পাহারা বাদ দিয়ে নিজের ঘরবাড়ি রক্ষার জন্য পাহারা দিচ্ছে। হাতির তাণ্ডবে গত রাতে (রোববার) এলাকাবাসী বেশি আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে।
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতি মৃত্যুর ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহ বনবিভাগের মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ১১ জনের নামে নালিতাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেছেন। এই মামলায় জেনারেটর চালক শহিদুল ইসলাম (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে বনবিভাগ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে এখন জেলহাজতে আছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো.ফয়েজুর রহমান বলেন, হাতির মৃত্যু ময়নাতদন্ত করে আলামত সংগ্রহ করার পর সেখানেই হাতিটিকে মাটিচাপা দেওয়া হয়। আলামত ঢাকা মহাখালী সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে জানা যাবে কিভাবে মৃত্যু হয়েছে।