
লড়াই করার পুঁজি নিয়ে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে খুলনা টাইগার্সকে ১২ রানে হারিয়েছে ঢাকা প্লাটুন। খুলনার মুশফিকুর রহিম হাফসেঞ্চুরি তুলে ঢাকাকে চিন্তায় ফেললেও ম্যাচ বের করতে পারেননি। এই জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে উঠে গেছে ঢাকা।
সিলেটে শুক্রবারের প্রথম ম্যাচে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭২ রান করে ঢাকা। জবাবে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬০ রানে থামে খুলনা।
খুলনা এদিন তৃতীয় ওভারে ওপেনার আমিনুল ইসলামকে (৪) হারানোর পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। পাঁচ নম্বরে নেমে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ভালোই চেষ্টা করেন। তাকে সঙ্গে দেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। ৫৬ রানের জুটি গড়ে ব্যক্তিগত ৩১’এ তিনি রানআউট হলে মুশফিক একা হয়ে যান। মুশফিকের লড়াই শেষ হয় ১৯তম ওভারে। ৩৩ বলে ৬৪ করে হাসান মাহমুদের বলে সাদাব খানের হাতে ক্যাচ দেন।
মাশরাফী ৩ ওভারে ২৬ রান দিয়ে এক উইকেট নেন। হাসান মাহমুদ নিজের প্রথম স্পেলের দুই ওভারে ৫ রান দিয়ে ফেরান দুইজনকে। পরের দুই ওভারে আরও দুই উইকেট নিলেও খরচ করেন ২৭ রান, মোট ৩২। সাদাব খান ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে নেন এক উইকেট।
ঢাকার সর্বোচ্চ স্কোরার ছয় নম্বরে নামা আসিফ আলী। মাত্র ১৩ বল খেলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় পাকিস্তানী ব্যাটসম্যান করেন অপরাজিত ৩৯।
সিলেটে আগের রাতে শুরু হওয়া বৃষ্টি শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ছিল। বৃষ্টি থামার পর মাঠ প্রস্তুত করে খেলা শুরু হয় ৪০ মিনিট দেরিতে। তবে ওভার কমেনি।
৫ ওভারে ঢাকার রান ছিল ৪৪। ষষ্ঠ ওভারে তামিমকে ফিরিয়ে খুলনাকে প্রথম উইকেট এনে দেন মোহাম্মদ আমির। তামিম ফেরেন ২৩ বলে ২৫ করে। ঢাকার পরের ব্যাটসম্যানরা ধরে রাখতে পারেননি রানের গতি।
১৩ বলে ১৫ করে এনামুল ফেরেন শফিউলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের ফিরতি ক্যাচে বিদায় নেন মেহেদি হাসান (৫ বলে ১)।
আরিফুল হক এবং মুমিনুল হক ৫৬ রানের জুটি গড়তে খেলে ফেলেন ৪৭টি বল। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ৩৮ করে বিদায় নেন মুমিনুল। আরিফুল ৩৭ রানের ইনিংসে বল খেলেছেন ৩০টি।
খুলনার আমির ২৭ রান দিয়ে ২ জনকে ফেরান।