রাধিকা আপ্তে-র প্রথম পরিচয়, তিনি একজন দক্ষ অভিনেত্রী এবং পাশাপাশি তিনি অত্যন্ত সাহসী একজন।
অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তে ভিন্ন ধারার অভিনয়ের জন্য সুপরিচিত এবং তুমুল জনপ্রিয়। ‘পার্চড’, ‘কাবিল’, ‘ফোবিয়া’, কিংবা শর্টফিল্ম ‘অহল্যা’য় দুর্দান্ত অভিনয় তাকে সিনেমাপ্রেমীদের মনে স্থায়ী জায়গা করে দিয়েছে। হাতে উঠেছে পুরস্কার। শুধু কি পর্দায় অভিনয়; রাধিকার গুণের কথা বলে শেষ করা যাবে না।
পড়াশোনা দিয়েই শুরু করা যাক। একটা নয় এক সঙ্গে দুটি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি আছে তার। ইকোনমিক্স ও ম্যাথামেটিক্স। সাতটি ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন রাধিকা। এর মধ্যে রয়েছে মারাঠি, হিন্দি, ইংরেজি, তামিল, বাংলা, তেলুগু এবং মালায়লম। শুধু লেখাপড়া বা ভাষা শিক্ষা নয়, কত্থক নৃত্যেও কৃতিত্ব দেখিয়েছেন রাধিকা।
কেরিয়ারের শুরুর দিকে যখন ভেবেছিলেন পুণে থেকে মুম্বাই এসে থাকতে শুরু করবেন অভিনয়ের স্বার্থে, প্রত্যেকের কাছে ‘না’ শুনতে হয়েছিল রাধিকাকে। অভিনয়কে কেরিয়ার হিসেবে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তে সকলেই নিরুৎসাহিত করেছিলেন তাকে।
এ প্রসঙ্গে রাধিকা বলেন, আমায় সকলে বলেছিল, মুম্বাই গেলে নাকি আমার ধর্ষণ হতে পারে! ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে মানুষের কত ভুল ধারণা থাকে। আর সব ধারণাই চূড়ান্ত পর্যায়ের! ফিল্ম দুনিয়ার মানুষরাও যে আর পাঁচজনের মতোই, সেটা মানতে চান না কেউ।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে নেটফ্লিক্স ফিল্ম ‘রাত আকেলি হ্যায়’, যেখানে রাধিকার অভিনয় প্রশংসিত। ছবির চরিত্রের ক্ষেত্রেও স্টিরিয়োটাইপ ভাঙতে চান তিনি। রাধিকা বলেন, একটা-দুটো ছবিতে স্ট্রিপ করার পরেই ধরে নেওয়া হয়েছিল, বার বার সিডাক্ট্রেসের চরিত্র করব। অনেক প্রস্তাব ফিরিয়ে সেই ধারণাটা ভাঙতে চেষ্টা করেছি।
১৯৮৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর রাধিকার জন্ম। সবে মাত্র ৩২ বছরে পা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। বিয়ে করেছেন ২০১২ সালে। স্বামী বেনডিক্ট টেলর একজন ব্রিটিশ নাগরিক। রূপালি পর্দার আগে রাধিকা নিয়মিত মঞ্চে অভিনয় করেছেন। থিয়েটার থেকে এসেছেন সিনেমায়। বড় দৈর্ঘ্যের ছবি দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও তিনি এখন স্বল্প দৈর্ঘ্যর ছবি করতেই বেশি ভালোবাসেন। একটা সময়ে অভিনেতা তুষার কাপুরের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। কিন্তু সেটা অঙ্কুরেই শেষ হয়।
নগ্নতা কিংবা সাহসী দৃশ্যে অভিনয় নিয়ে রাধিকার কোনো অস্বস্তি নেই। গল্পের প্রয়োজনে ক্যামেরার সামনে পোশাক খুলতে দ্বিধা করেন না তিনি। তার নগ্ন ছবি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরেও তিনি ক্ষিপ্ত হননি। শান্ত হয়ে মোকাবিলা করেছেন। দেশ রূপান্তর