
রংপুর ব্যুরোঃ বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থ পরিকল্পনা সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি এমপি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিরা আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। করছে তাই মুক্তিযোদ্ধাদের ষড়যন্ত্র রুখে দাড়াবার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মঙ্গলবার রংপুর জিলা স্কুল মাঠে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তি উপলক্ষে রংপুর জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুনমিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তারা বাঙ্গালী জাতির মুক্তির জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে যুদ্ধ করেছেন এবং অনেকে জীবন দিয়েছে। সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়টি অনুভব করেন। তাদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিসহ জীবনমান উন্নয়নের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দ্বিগুণ করে দিয়েছেন। বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছেন। এসব করতে সময় লাগছে। তবে মুক্তিযোদ্ধারা সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য যুদ্ধ করেননি।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ৫০ বছরে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে মানুষের রোজগার বেড়েছে। এখন বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। করোনা মহামারীর সময় বাংলাদেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান দেখেছে বিশ্ব। পাকিস্তান এখন সকল ক্ষেত্রে আমাদের চেয়ে শতকরা ৫০ ভাগ পিছিয়ে আছে। এটা সম্ভব হয়েছে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন কর্মকান্ডের জন্য।
বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে আমরা পরিকল্পনা করছিলাম মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে পুনমিলনী করার জন্য। সারা দিন তাদের সাথে সময় কাটাব। এমনিতেই মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা কমছে। রংপুরের সকল মুক্তিযোদ্ধা আমার সাথীদের সাথে দেখা হবে সেই কারণেই এই অনুষ্ঠান।
নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, সারা বিশ্বে চিনি ও ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে এটা গ্লোবাল সমস্যা। তার পরেও আমরা চেষ্টা করছি দাম কমিয়ে আনার।
এর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে পায়রা উড়িয়ে দিন ব্যাপি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তিনি। দিন ব্যাপি অনুষ্ঠানের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধারা হঁাড়ি ভাঙ্গা দৌড়সহ বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশ নেন। এ ছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে রংপুর সিটি কপোর্রেশনের মেয়র মোস্তফিজার রহমান মোস্তফা, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. ছাফিয়া খানম, রংপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুব রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়ার রহমান সফি, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডলসহ রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত কয়েকশত বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।