ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠিতে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত রেজাউল করিম খানকে মামলা তুলে নিতে প্রাননাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অব্যহত হুমকির কারনে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী। ৫ আগষ্ট ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের দিন ঝালকাঠির শেখেরহাট ইউনিয়নের গরংঙ্গল (কলবাড়ি) বাজারে পূর্ব শত্রুতার জেরে কতিপয় দূর্বৃত্ত সংঘবদ্ধ হয়ে সন্ধ্যার দিকে শত শত মানুষের সামনে রেজাউল করিমকে কুপিয়ে রক্তাক্ত যখম করে একটি পা ভেঙ্গে দেয়। এ ঘটনায় ঝালকাঠি সদর থানায় ভুক্তভোগীর ছোট ভাই এড. মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ৫জনকে আসামী করে ২৮ সেপ্টেম্বর একটি মামলা (নং১৭ জিআর ২০৩) দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয় আসামীরা সংঘবদ্ধভাবে গরংঙ্গল খেয়াঘাট (কলবাড়ি) বাজারে রেজাউল করিমের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। ১নং আসামী পারভেজ হাওলাদার ওরফে মুন্না ভিকটিমকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে পা দ্বি-খন্ডিত করে, ২নং আসামী মো: রাকিব হাওলাদর লোহার দাও দিয়ে কুপিয়ে পায়ের হার টুকরা টুকরা করে ফেলে। অন্যান্য আসামীরা এলোপাতারী ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা রক্তাক্ত জখম করে। ভিকটিম রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা প্রাণনাশের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে স্থানীয়রা আহত রেজাউল করিমকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের পরামর্শে রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে এলে আসামীরা ভিকটিমকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে এবং নানা রকম ভয়ভীতি দেখায় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভিকটিম রেজাউল করিম খান ঘরের বিছানায় পায়ে রিং পড়ানো অবস্থায় ব্যথায় কাতরাচ্ছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাকে চাপ প্রয়োগ করে এবং নানা রকম ভয়ভীতি দেখায় আসামীরা। আমি প্রশাসনের নিকট সুবিচার প্রর্থনা করছি।”