ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি: চাঁদাবাজি ও হত্যাচেষ্টা মামলা তুলে নিতে ঢাকার ধামরাইয়ে মামলার বাদি ইটভাটার মালিক আবু রায়হান সেলিম ও মামলার সাক্ষী আনছার আলীকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরই প্রতিবাদে
সোমবার ধামরাইয়ের পশ্চিমপাড়া জালসা বাজার এলাকায় মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। তারা জামিনে থাকা আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, প্রায় তিন মাস আগে ধামরাইয়ের জালসা এলাকার মেসার্স বিএমআর নামক ইটভাটার মালিক আবু রায়হান সেলিমের কাছে উচ্চমূল্যে মাটি বিক্রি করার প্রস্তাব দেন পশ্চিমপাড়া জালসা গ্রামের মাটি ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম রতন গং। এতে সেলিম রাজি না হলে তার কাছে প্রতিমাসে এক লাখ টাকা করে চাঁদাদাবি করে ও ভয়ভীতি দেখায়। এ ঘটনায় একটি সাধারন ডায়েরী করে সেলিম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১ জুলাই শহিদুল ইসলাম রতনের নেতৃত্বে নাসির উদ্দিন সখি, হারুন, বাবুল হোসেনসহ ৬-৭ জন সন্ত্রাসী নিয়ে ইটভাটায় গিয়ে সেলিমকে মারধর করে ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় তার কাছে থাকা ইটভাটা শ্রমিকদের বেতনের দেড় লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। এ ঘটনায় থানায় চাঁদাবাজি ও হত্যা চেষ্টার মামলা করেন সেলিম। আসামিরা কয়েকদিন আগে জামিনে আসেন।
মানববন্ধনে স্থানীয় আনছার আলী বলেন, পুলিশের কাছে স্বাক্ষী দেওয়ায় আসামিরা আমাকেও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে।
মামলার বাদী আবু রায়হান সেলিম বলেন, আসামিরা জামিনে এসেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য দফায় দফায় হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। তিনি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম রতনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে এলাকায় পাওয়া যায়নি। তবে অপর অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন সখি মামলার বাদীকে হুমকি দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফরিদ আহমেদ শেখ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।