মানিকগঞ্জ-০১ আসনে দিন দিন জামায়াতের নেতা-কর্মী ও সমর্থকের সংখ্যা বাড়ছে

শিবালয় (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জ-০১ (দৌলতপুর-ঘিওর-শিবালয়) আসনে দিন দিন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী ও সমর্থকের সংখ্যা বাড়ছে।
সূত্র জানায়, বিএনপি নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক ও অভ্যন্তরীণ অন্তর্দন্দ, ক্ষমতায় আসতে না আসতেই ব্যপক চাঁদাবাজি, আওয়ামীপন্থী নেতাকর্মীদের বাড়ীঘরে লুটপাট, সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন ও অত্যাচার, জমি-জমা ও বাড়িঘর জবর-দখল, জোরপূর্বক সরকারি খাস সম্পত্তির উপর স্থাপনা নির্মাণ, দোকানপাটে চাঁদাবাজি, লুটতরাজ, রাস্তাঘাটে ছিনতাই, এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থপনা, খাস ভূমি, নদীবন্দর, পদ্মা-যমুনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টের বালু মহাল, ফেরিঘাট ও হাট-বাজার দখলকে কেন্দ্র করে তিন উপজেলায় বিএনপির তিন নেতাকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনাসহ নানা অপকর্মে জড়িত।
এছাড়া ৫ আগষ্টের পর থেকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর দেশব্যপি আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীগণ গণহারে গ্রেফতার হওয়ায় আওয়ামী সমর্থক শ্রেণীর লোকজন গ্রেফতার আতংকে চুপটি মেরে বসে রয়েছে। ফলে এক সময়ের চাঙ্গা দল এখন একেবারে নিস্ক্রিয়।
ভিপি নুরের গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের শিবালয়, দৌলতপুর ও ঘিওরে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা পরিলক্ষিত হলেও নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহর জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা কর্মীদের দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে তারা এখনও নীরব ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
এদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীগণ সমাজে ভাল কাজ করা সহ অসহায় ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর পাশে থেকে তাদের সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। ফলে শিবালয়, দৌলতপুর ও ঘিওর উপজেলার বিএনপির ঘাঁটি খ্যাত এলাকাগুলোতে দিন দিন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক ও নেতা-কর্মীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
একটি নির্ভরশীল সূত্র জানায়,মানিকগঞ্জ-০১ আসনে (ঘিওর-দৌলতপুর-শিবালয়) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রকাশ্য নেতা-কর্মীর চাইতে গোপনীয়ভাবে নেতা-কর্মীরা দল গোছানোর কাজ করে যাচ্ছেন।
এছাড়াও এবার সাধারণ ভোটারদের একটা বড় অংশ এবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে বর্জন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে যুক্ত হচ্ছেন। এ কারণে জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলে আওয়ামীলীগ পন্থীদের অনেকেই এবার নিজেদের দলের প্রার্থী না থাকায় জামায়াতে ইসলামীকে বেছে নিবেন এমনটি ধারণা করছেন একটি বিশেষ মহল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির এক প্রবীণ নেতা এ প্রতিবেদককে জানান,ক্ষমতায় না আসতেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা যেভাবে সাধারণ জনগণের উপর অত্যাচার ও নিপীড়ন চালাচ্ছেন তারা অতীতের ফ্যাসিস্ট হাসিনার আওয়ামীলীগ সরকারকেও হার মানিয়েছেন। তিনি আরোও বলেন, এমনিতেই বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।তাদের অনেকেই কেউ কারো কমান্ড মানেন না। তার উপর বিএনপির নেতা-কর্মীরা যদি সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন সহ নীরহ সাধারণ মানুষের উপর অন্যায়ভাবে জুলুম-অত্যাচার বন্ধ না করেন এবং জনগণের মনোনীত প্রার্থীকে দলীয়ভাবে মনোনয়ন না দেন তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীর ভরাডুবি হওয়া সহ কিংবা জামানত হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে।