
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের হরিরামপুর ও দৌলতপুর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে জালভোট প্রয়োগ, কেন্দ্র দখল, মারামারির মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশ আট রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গুলির আঘাতে হরিরামপুর উপজেলার উজান বয়ড়া কেন্দ্রে সৈয়দ হুমায়ন কবির সিরাজ নামে একজন মারাত্বকভাবে আহত হয়। আহত সিরাজ কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার হরিরামপুর ও দৌলতপুর উপজেলার ২০টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকেই বেশ কিছু ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠে। হরিরামপুর উপজেলার উজান বয়ড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাডিং অফিসার বিজয় কুমার রায় বলেন বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামীলীগ সমর্থীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সৈয়দ হাসান ইমাম বাবুর ভাই সৈয়দ হুমায়ন ইমাম সিরাজ বেলা তিনটার দিকে লোকজন নিয়ে উজান বয়ড়া কেন্দ্রে জোর করে প্রবেশ করেন। তারপর জোরপুর্বক জালভোট দিতে থাকেন।আইন শৃংঙ্খলা বাহিনী জালভোট প্রদানে বাধা দিলে তারা অস্ত্র ছিনতাই করার চেষ্টা করে। পুলিশ অস্ত্র রক্ষার্থে পাঁচ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে। এতে সৈয়দ হুমায়ন কবির সিরাজ আহত হন।
তিনি আরো বলেন এঘটনায় ভোটারররা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কিছু সময়ের জন্য ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। পরে যথারিতি ভোট গ্রহন চলে। জাল ভোট সনাক্ত করে নিয়মানুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। অপর দিকে একই উপজেলার গালা ইউনিয়নের কলতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে চার রাউন্ড ফাঁকা গুলির ঘটনা ঘটে। এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিংঅফিসার মোহম্মদ মোস্তফা জানান কেন্দ্রের মধ্যেই তিন চেয়াম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। তাদের সান্ত করার চেষ্টা করা হলে তারা আরো ব্যাপোরোয়া হয়ে উঠে আইনশৃংঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ চাররাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে কেও হতাহত হয়নি।
দ্বিতীয় দফায় জেলার ৬৫ টি ইউনিয়নের মধ্যে ২০ টিতে নির্বচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ দুই উপজেলায় চেযারম্যান পদে ৯৬ জন, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদে ২০৬ জন, সাধারণ মেম্বার পদে ৬০৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন। এ দুই উপজেলায় ২০টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৩৮ হাজার ২ জন। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের দলের মনোনয়ন পাওয়া ২০ প্রার্থীর বাইরে সতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ২৬ জন। আর বি এনপি‘র দলীয় প্রতীক পাওয়া ২০ প্রার্থীর বাইরে সতন্ত্র প্রাথী হয়ে জন লড়ছেন ৮ জন।
সূত্রে জানা যায় সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য র্যাব,পুলিশ,বিজিবি, আনসার সহ সাড়ে চারহাজার নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োজিত ছিল ।