মানিকগঞ্জ সংবাদদাতা : মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায় মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিকরা। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।
উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা জানান, ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। সকাল ৯টার দিকে পেশাগত কাজে উপজেলা চত্বর প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠানে উপজেলা সাংবাদিকরা উপস্থিত হন। এ সময় ইউএনও ইমরুল হাসানের নির্দেশে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এমদাদুর রহমান উপস্থিত সকল সাংবাদিকদের অনুষ্ঠানের ছবি তুলতে নিষেধ ও অনুষ্ঠানস্থল ত?্যাগ করতে বলেন। এ ঘটনায় উপজেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলায় কর্মরত দৈনিক ভোরের কাগজের প্রতিনিধি মো. শাহ আলম বলেন, বিজয় দিবসের সকালে উপজেলা চত্বরে বীর শহীদদের স্মরণে নবনির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সকাল ৯টার দিকে প্যারেড গ্রাউন্ডে প্যারেড অনুষ্ঠান চলাকালীন মুহূর্তে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এমদাদুর রহমান উপজেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক সকল সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাধা দেন এবং অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে বলেন। এ সময় পেশাগত কাজে বাধা দেয়ায় এমদাদুর রহমানের সঙ্গে কয়েকজন সাংবাদিকের কথাকাটাকাটিও হয়।
ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরুল হাসান দেখেও না দেখার ভান করে এড়িয়ে যান। ঘটনার বিষয়ে ইত্তেফাকের প্রতিনিধি সালমান খান বলেন, অনুষ্ঠান শুরুর সময় ছবি তুলতে গেলে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এমদাদুর রহমান তাদেরকে ছবি তুলতে নিষেধ করেন। এ ঘটনায় উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছেন। এ বিষয়ে মাধ্যমিক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এমদাদুর রহমান বলেন, ইউএনও’র নির্দেশে সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাধা এবং অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে বলেছেন তিনি। ইউএনও ইমরুল হাসান বলেন, ‘সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাধা দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে আমি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলবো।’ এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, মহান বিজয় দিবসে সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে উপজেলা প্রশাসনের বাধা দেয়ার বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জাজনক ও নিন্দনীয়। বিষয়টি জানানোর পর তিনি তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফকে অবহিত করেন। এরপর জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাধা দেয়ার বিষয়টি নিয়ে ইউএনও’র কাছে জানতে চান। তবে তিনি (ইউএনও) অভিযোগ অস্বীকার করেন বলে জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন। এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন জেলা ও উপজেলার সাংবাদিক নেতারা।