মো.নজরুল ইসলাম,মানিকগঞ্জ: “লোকায়ত কৃষি ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ করি” আজ মানিকগঞ্জের অন্যতম কৃষি প্রতিবেশীয় অঞ্চল মানতা-জয়নগর গ্রামের পরিতোষ সরকারের বাড়িতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কৃষি প্রতিবেশবিদ্যা খাদ্য সার্বভৌমত্ব ও জলবায়ু ন্যায্যাতা নিশ্চিতে বৈশাখের অন্যতাম পার্বণ তেরাব্যারা দিনে তেরো ধরনের শাক ও হরেক রকমের দেশীয় বীজ মেলা প্রদর্শন,বিনিময় ও শিশুদের চিত্রপটে প্রকৃতির দৃশ্য অঙ্কিত হয়।
অনুষ্ঠানমালায় পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভায় জয়নগর কৃষক কৃষাণী টিমের আহবায়ক সূচিত্রা সরকারের সভাপতিত্বে ও বারসিক প্রকল্প কর্মকর্তা মো.নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সূচনা বক্তব্য রাখেন বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল চন্দ্র রায়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুটাইল ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো.জসিম উদ্দিন, একই ইউনিয়নের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য রুবিনা আক্তার রুবী, অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন, ইয়ুথ গ্রীণ ক্লাবের জেলা সহসভাপতি মিজানুর রহমান হৃদয়, বারসিক কর্মকর্তা সুবীর কুমার সরকার, নিতাই চন্দ্র দাস, সামায়েল হাসদা প্রমুখ।
বিশেষ আলোচনায় তেরাবেরা পার্বণের উৎসকথার মূল বিষয় উঠে আসে এই চর্চায় নানা রোগবালাই বিশেষ করে বসন্ত গুটিবসন্তসহ অনেক অসুখ ভালো হয়। গ্রানীন লোকজ সংস্কৃতির ভান্ডারে এই চর্চা দীর্ঘায়ু লাভ করুক। জমিতে দেশীয় বীজ,সার ব্যাবহারে কৃষকের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা পায়। এভাবে আমার একদিন খাদ্য সার্বভৌমত্ব অর্জনে সক্ষম হবো।