
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার ধামশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলেক মিয়া ও তার চাচাতো ভাই কাদের মিয়া সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার রাতে গালা বাজারে প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ইদ্রিস আলী ও তার লোকজন লাঠিসোঠা এবং রামদা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর এই হামলা করেছেন বলে ভূক্তভোগী ওই প্রার্থী অভিযোগ করেছেন।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলেক মিয়া জানান, রাত ১১ টার দিকে গালা বাজারের একটি গুদামে তার কর্মী খইমুদ্দিন মাতব্বরকে ইদ্রিস ও তার লোকজন আটকে রাখেন। এ খবর পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ে ঘটনাস্থলে কাদের মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে আসেন তিনি। এ সময় ইদ্রিসের নেতৃত্বে মোকছেদ আলী, নাসির উদ্দিন, আবদুল কুদ্দুস, আফসার আলী, মেহের আলী ও রজ্জব আলীসহ ২০-৩০ জন লাঠিসোঠা, রামদা ও ধারালো অস্ত্র হাতে তাদের ওপর হামলা করেন।
হামলাকারীদের রামদার কোপে কাদেরের বাম হাত কেটে ঝুলে পড়ে। আর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বিএনপি প্রার্থী আলেকের মুখ, মাথায় ও ডান হাত কেটে যায়। এতে তারা গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন বলেও জানান আলেক মিয়া।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মো. ইদ্রিস আলী উল্টো অভিযোগ করে বলেন, আমি একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে আলোচনা করছি, তখন খবর পাই গালা এলাকায় আমার কর্মী-সর্থকদের সাথে বিএনপি প্রার্থী আলেকের কর্মীদের তর্ক বিতর্ক ও সামান্য হাতাহাতির ঘটনা। পরে ওরা লাঠি- চাপাতি নিয়ে আমার লোকজনের ওপর হামলা করে। আমার ভাতিজা রজ্জব আলীকে ধারালো চাপাতি দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়েছে। সে বর্তমানে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি।
বিএনপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলেক মিয়া ও তার চাচাতো ভাই কাদের মিয়ার মারাতœক জখম কিভাবে হলো এমন এক প্রশ্নের জবাবে এড. ইদ্রিস আলী বলেন, ঘটনার সময় টহল পুলিশের বাঁশির শব্দে হুড়ো হুড়ি করে দৌড়ানোর সময় পরে গিয়ে আঘাত পেয়ে থাকতে পারে।
এ ব্যাপারে মো. ইদ্রিস আলীর কর্মী শুকুর আলী বাদী হয়ে আতোয়ার ও তারা মিয়াসহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের নামে মামলা করে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল নিশাত জানান, ঘটনার পরপরই তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় রাতেই ইদ্রিস আলী ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন খইমুদ্দিন। এদিকে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর পক্ষে শুকুর আলী নামে এক সমর্থক এড. আলেকের কর্মী আতোয়ার ও তারা মিয়াসহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের নামে আরেকটি মামলা দায়েরের কথা জানান ওসি।