মানিকগঞ্জে নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ শিকারে তৎপরতা

সংবাদদাতা, শিবালয় (মানিকগঞ্জ) : মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার শতাধিক জেলে সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সময়েও ইলিশ শিকারে তৎপর রয়েছে। সরকারি ভাবে চলতি ১অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরা, মজুদ, পরিবহন নিষিদ্ধ ঘোষনা করার পর তারা তৎপরতা শুরু করেছে।
জানা গেছে, মা’ ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের অংশ হিসেবে দেশের ২৭ জেলার মধ্যে অন্যতম মানিকগঞ্জের পদ্মা-যমুনা বেষ্ঠিত শিবালয়, দৌলতপুর ও হরিরামপুর উপজেলার তালিকাভূক্ত জেলেদের নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ শিকার বন্ধ রাখতে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
এ তিনটি উপজেলার অন্তত ৬০ কিলোমিটার বিস্তৃত পদ্মা-যমুনা বক্ষে ইতিপূর্বে নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ ধরার প্রবনতা লক্ষ্য করা যায়। গত কয়েক মওসুমে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে এদের জেল-জরিমানা ও জাল-নৌকা আটক করেন। তবুও, এ সকল এলাকার জেলে ইলিশ ধরার প্রস্ততি নিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইলিশ শিকারীরা ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, ইঞ্জিন চালিত দ্রুতগামী নৌকাসহ অন্যান্য উপকরন সংগ্রহ করছে। বিশেষ করে স্থানীয় একশ্রেণির জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী মৎস্য আড়ৎ ব্যবসায়ীদের মদদে দুর্গম চরাঞ্চলের ভিন্ন পেশার মানুষ কৌতুহলবশত নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ ধরার কাজে নেমে পড়ে।
শিবালয় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রফিকুল আলম জানান, এ অঞ্চলেরর প্রকৃত জেলেদের তালিকা প্রস্তত থাকায় নিষিদ্ধ সময়ে ইলিশ শিকারে তাদের শতর্ক করা হচ্ছে। জনসচেতনতায় বিভিন্ন হাট-বাজার ও মৎস্য আড়তে পোষ্টার, ব্যানার, ফেস্টুন সাটানো হয়েছে। জেলেদের অপতৎপরতা রোধে নদীতে বাড়তি টহল ও কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল মোহাম্মদ রাশেদ জানান, প্রধান প্রজনন মওসুমে ইলিশ সংরক্ষনের জন্য ২২ দিন মাছ ধরা, বিক্রি ও মজুদে নিষেধাজ্ঞা জারি কার্যকর করতে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। এ আদেশ অমান্যকারীদের এক থেকে দু’বছরের সশ্রম কারাদন্ড, পাঁচ হাজার টাকা হারে জরিমানা বা উভয় দন্ড প্রদান করা হবে।