
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার দেউলি এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢালাইয়ের সময় নির্মাণাধীন একটি সেতুর একাংশ ধসে পড়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ও দূর্বল সেন্টারিং (ঠেকনা) ব্যবহারের কারণে সেতুটি ধসে পড়ে। এ ঘটনায় ভুট্টু মিয়া (৪৫) নামের এক নির্মাণ শ্রমিক আহত হয়েছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় উপজেলার জয়মণ্ডপ ইউনিয়নের দেউলি এলাকায় খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ৫ শতাংশ কম দরে ৩০ লাখ টাকা সেতুটি নির্মাণের দায়িত্ব পায় এসএফ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চলতি বছরের শুরুতে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
এলাকাবাসী জানায়, কাজের শুরু থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার ও কাজের ধীরগতির অভিযোগ রয়েছে। কার্যাদেশ অনুযায়ী কাজ না করায় এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে ঠিকাদার আতাউর রহমানের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে।
নির্মাণকাজে নিয়োজিত শ্রমিক আলম হোসেনসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, গতকাল সকাল সাড়ে আটটার দিকে সেতুটির একাংশের ঢালাইয়ের কাজ শুরু করা হয়। বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে কাজ চলাকালে সেন্টারিং (বাসের ঠেকনা) ভেঙে নির্মাণাধীন সেতুটির একাংশ ধসে পড়ে। এ সময় নির্মাণ শ্রমিক ভুট্টু আহত হন। তাঁকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তবে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ঠিকাদার আতাউর রহমান। তিনি বলেন, কার্যাদেশ অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। সেতুর কাজে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার ও কোনো অনিয়ম করা হয়নি। নির্মাণ শ্রমিকদের ভুলে সেন্টারিং দুর্বল হওয়ায় সেতুর ঢালাইয়ের অংশ ধসে পড়ে। এতে তাঁর প্রায় তিন লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
নির্মাণাধীন সেতুর একাংশ ধসে পড়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে পিআইও শফিকুল ইসলাম বলেন, সেতুটি নির্মাণে অনিয়ম কিংবা নিম্নমানেরসামগ্রী ব্যবহার করা হয়নি। সেন্টারিংয়ে ত্রুটির কারণে সেতুর ঢালাইয়ের অংশ ধসে পড়ে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পূনরায় ঢালাইয়ের কাজ শুরু করার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইত্তেফাক