sliderস্থানীয়

মানিকগঞ্জে কৃষকদের রকমারী ধান বাছাই

নাসির উদ্দিন, হরিরামপুর প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার হাটিপাড়া ইউনিয়নের বরুন্ডি কৃষক নেতৃত্বে প্রায়োগিক ধান গবেষণা প্লটে কৃষক-কৃষাণি সংগঠন ও বারসিক উদ্যোগে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। প্রায়োগিক ধান গবেষণা প্লটে আমন মৌসুমে সম্পূর্ণ জৈব উপায়ে স্থানীয় ৭২ জাতের ধান চাষ করা হয়। স্থানীয় কৃষকগণ নিজেদের ঘরের ধান বীজ থেকে বীজতলা তৈরি, গোবর দিয়ে সার জৈবসার তৈরি, জমিতে হাতে আগাছা বাছাই ও কৃষকের নিজস্ব উপকরন এবং ব্যবস্থাপনায় ধান উৎপাদন করেন। এলাকার কৃষকসহ ও বিভিন্ন গ্রামের কৃষকগণ মাঠ দিবসে অংশগ্রহন করে গবেষণা প্লটের ধান নির্বাচন করেন। কৃষকদের ধান নির্বাচনের মাধ্যমে বীজ হিসাবে দেওয়া হয় জমিতে চাষ করার জন্য। কৃষক নিজস্ব উপায়ে ধান উৎপাদন করে ও কৃষক পর্যায়ে জাতবৈচিত্র্য সম্প্রসারণে উদ্যোগ গ্রহন করেন।

কৃষক নেতৃত্বে প্রায়োগিক ধান গবেষণা প্লটের মাঠ দিবসে 35 জন কৃষক স্থানীয় ৫ জাতের মুকবুল, রাজভোগ, গোসাই, এম-252,পারদকলম ধান নির্বাচন করেন। এই কৃষকদের ধান চাষের জন্য বীজ হিসাবে দেওয়া হবে। কৃষকগণ নির্বাচনের কারন হিসাবে বলেন ধানের র্শীষ বড়, গাতনী ঘন, ধান ভালো উৎপাদন হবে। ধান গাছ শক্ত নুয়ে পড়বে না, পোকার আক্রমন কম, গোবর সার দিয়ে ভালো হয়। কৃষকদের বাছাইকৃত গোসাই ধানের র্শীষে প্রায় ৩৫০টি ধান রয়েছে, এ ধান উৎপাদন ভালো হবে এবং কৃষকগণ সর্বাধিক বাছাই করেন।

মাঠ দিবসে বারসিক অঞ্চল সমন্বয়কারী বিমল রায় কৃষকদের সাথে গবেষণা প্লট পর্যবেক্ষন করে মাঠে ধান বৈচিত্র্য চাষাবাদ, কৃষকদের ধান গবেষণা উদ্যোগ, প্রভাব ও সম্প্রসারনের তথ্য আদান প্রদান করেন। মাঠ দিবসে কৃষকগণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন গুরুদাস সরকার, সুফিয়া বেগম, বৈদ্যনাথ সরকার, মাঠ গবেষক গোসাই দাস রায়, ভজন রায়, প্রোগ্রাম অফিসার সত্যরঞ্জন সাহা বলেন বিগত সময়ে কৃষকগণ মুকবুল ধান বাছায়ের মাধ্যমে মাঠে চাষাবাদ করছে। কৃষক পর্যায়ে বিনিময়ের মাধ্যমে ধান জাত সম্প্রসারণ হচ্ছে। পানি সহনশীল কাইশ্যাবিন্নি ধান চাষ করি ও ধানের উৎপাদন ভালো আবার হঠাৎ পানি হলেও সমস্যা হয় না। ধান গবেষণার মাধ্যমে জৈব উপায়ে ধান চাষ ও বীজ সংরক্ষণ করে আমরা চাষ করছি। কৃষকদের সাথে যোগাযোগ তৈরি ও বীজ বিনিময়ের মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান চাষাবাদে নিজস্ব উদ্যোগ গ্রহন করে লাভবান হয়েছি ।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button