
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: “কৃষি জমি সুরক্ষা করি,খাদ্যে সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করি“ মূলত মানিকগঞ্জের জেলা দেশের মধ্যে সমতল অঞ্চল। মিঠা পানির পর্যাপ্ততা থাকলেও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যাবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ভূ উপরিভাগের পানির পর্যাপ্ততা হ্রাসসহ কৃষি জমিও আশংকাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে। এগুলো মোকাবিলায় সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ করতে হবে এবং কৃষি জমি সুরক্ষা নীতিমালা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।
কৃষি জমির বর্তমান অবস্থা জানতে সরজমিনে মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়,ইট ভাটার মাটির চাহিদা মেটাতে মানিকগঞ্জের সদর উপজেলায় তিন ফসলি জমির ‘টপ সয়েল’ বা উর্বর মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে ভাটা মালিকরা- এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় লোকজন। এতে একদিকে যেমন জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশের এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ফসলি জমির পরিমাণ ৯৮ হাজার ৫শ হেক্টর এবং ইট ভাটা রয়েছে ১২৩টি। এই ইট উৎ্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় মাটি আসছে কৃষিজমি থেকে। জানা গেছে, কৃষকদের ভুল বুঝিয়ে বা প্রলোভন দেখিয়ে কৃষিজমির উপরের মাটি কেটে ইটভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে। দরিদ্র কৃষকরা স্বল্পমূল্যে জমির উর্বর মাটি ভাটা ও গৃহ নির্মাণকারীদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। ফলে ফসল উৎপাদ হ্রাস পাচ্ছে।
ভাটার চাহিদা মেটাতে কৃষিজমির গুরুত্বপূর্ণ অংশের এমন ক্ষতি করা হলেও এটি বন্ধে প্রশাসনের তেমন উদ্যোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অথচ ভাটার সর্বশেষ আইন অনুযায়ী কৃষিজমির মাটি ভাটায় ব্যবহার নিষিদ্ধ। সরেজমিনে জেলার পৌর এলাকার দাশড়া, সদর উপজেলার তেরদোনা, বাঘিয়া, নবগ্রাম, ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের কলাসি গ্রামসহ উপজেলার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা গেছে, তিন ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে। মূলত কৃষকদের ফুসলিয়ে বা ভুল বুঝিয়ে জমির মাটি কেটে নিচ্ছে ভাটা মালিকরা। কৃষকদের বোঝানো হয় উঁচু জমিতে ধান আবাদ হবে না, জমি থেকে সেচের পানি নেমে যাবে, ওপর থেকে মাটি বিক্রি করে দেওয়া ভালো, ওপরের মাটিতে ভাইরাস-ময়লা আছে, ওপরের মাটি বিক্রি করে নিচের ভালো মাটিতে চাষ করলে বেশি ফসল হবে- ইত্যাদি ইত্যাদি। আর এ বিভ্রান্তি ছড়াতে ও কৃষককে প্ররোচিত করার কাজে সক্রিয় রয়েছে ভাটা মালিক ছাড়াও মাটি সরবরাহকারী এক শ্রেণির দালালচক্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, একটি ফসলি জমির পাশ থেকে মাটি কেটে আনলে অন্য কৃষক জমি ভাঙনের ভয়ে বাধ্য হয়ে ভাটা মালিকদের কাছে মাটি বিক্রি করে থাকে।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে নেজারত ডেপুটি কালেক্টর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের তথ্য অনুযায়ী জেলায় মোট ১২৩টি ওয়ারি ইট ভাটা আছে যার মধ্যে ১৮ ভাটার কোনো লাইসেন্স নেই। ১২৩টি ইটভাটার মধ্যে সদর উপজেলায় ভাটা রয়েছে ৩৫টি, সিংগাইর উপজেলায় রয়েছে ৬১টি, ঘিওর উপজেলায় রয়েছে ৬ টি, সাটুরিয়া উপজেলায় রয়েছে ১৪টি, শিবালয় উপজেলায় রয়েছে ৪টি, হরিরামপুর উপজেলায় ২ টি এবং দৌলতপুরে ১টি ইটভাটা রয়েছে। লাইসেন্স নেই সদর উপজেলার ৩টি ভাটার, সিংগাইর উপজেলায় ৯টি, সাটুরিয়া উপজেলার ১টি এবং হরিরামপুর উপজেলায় ২টি ভাটার। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে আরো জানা গেছে, ২০১৮ সালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ২টি ইটভাটার লাইসেন্স নবায়ন করা নেই এবং হাইকোর্টে মামলা চলছে ৫টি ভাটার, সিংগাইর উপজেলায় ৯টি ভাটার নবায়ন করা নেই এবং হাইকোর্টে মামলা চলছে ১ টি ভাটার, ঘিওর উপজেলায় ১টি ভাটার লাইসেন্স নবায়ন করা নেই, সাটুরিয়া উপজেলায় ২টি ভাটার নবায়ন করা নেই এবং হাইকোর্টে মামলা চলছে ৪টি ভাটার এবং শিবালয় উপজেলায় ২ টি ভাটার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা চলছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে তেরদোনা চকের মাটি ব্যবসায়ী শান্ত জানায়, আমরা স্থানীয় হক ব্রিকস ইট ভাটায় মাটি বিক্রি করেছি। এখানে আমরা জসিম, ভেটু হায়াত যৌথভাবে মাটি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। এ বিষয়ে বাঘিয়ার চকের মাটি ব্যবসায়ী রাজ্জাক জানায়, আমার ৩২ শতাংশ জমির মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করেছি। মাটি কেটে নেয়া জমিতে আমি মাছ চাষ করবো। ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের কলাসি গ্রামের মাটি ব্যবসায়ী সেন্টু ও সালাম জানায়, আমরা ২৫ শতাংশ জমির মাটি কিনেছি। এজন্য এ স্থান থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছি। জমির মালিক বধূটি গ্রামের তোমেজ উদ্দিনের ছেলে আনিছ মোল্লা জানান, এই জমিটি আসলে দুই ফসলি। তাই মাটি বিক্রি করে দিয়েছি। মাছ চাষের জন্য একটি পুকুর করবো এখানে।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান জানান, জেলায় মোট কৃষি জমির পরিমাণ রয়েছে ৯৮ হাজার ৫শ হেক্টর । কৃষি জমি থেকে টপ সয়েল কেটে নিলে আসলে আমাদের কিছু করার থাকে না। আমরা যতটুকু সম্ভব কৃষকদের বোঝানোর চেষ্টা করি যাতে করে কৃষক ফসলি জমি থেকে মাটি বিক্রি না করে।
জেলা প্রশাসন থেকে জানান, আমরা প্রত্যেক উপজেলার ইউএনওকে টপ সয়েল কেটে যারা কৃষি জমির ক্ষতি করছে তাদের উপর নজরদারি রাখার নির্দেশ দিয়েছি। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ভাটা মালিকদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসাও হচ্ছে। আশা করছি পরবর্তী বছর থেকে সরকার ইট ভাটার বিকল্প বøক ভাটার দিকে ধাবিত হলে অনেক সমস্যার সমাধান করা যাবে।
মানিকগঞ্জ খান বাহাদুর কলেজের ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক ড. মুজিবুর রহমানের এক গবেষণা থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রায় ২৫০ টি ছোট বড় নদী প্রবাহিত হচ্ছে। এদেশে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে নদী ভাঙ্গন কৃষি জমি ও ঘরবাড়ি বিনষ্টকারীর অন্যতম একটি দুর্যোগ। বাংলাদেশের প্রতিবছর নদী ৮৭০০ হেক্টর চাষযোগ্য কৃষি জমি গ্রাস করে এবং প্রায় ১০ লক্ষ লোক নদী ভাঙ্গনের ফলে বিরূপ প্রভাব দ্বারা আক্রান্ত হয়। মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর শিবালয় এবং দৌলতপুর উপজেলা পদ্মা যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর তীব্র ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে। এই তিনটি উপজেলা ৮৭ কিলোমিটার নদীর তীর বরাবর ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। পদ্মার ভয়াবহ ভাঙনের ফলে হরিরামপুর উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের মধ্যে চারটি ইউনিয়ন পুরোপুরি এবং অন্য পাঁচটি ইউনিয়নের শতকরা প্রায় ৫০ ভাগ নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। মাঠ জরিপে জানা যায় ১৯৮৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত শক্তিশালী পদ্মা, যমুনা ও ধলেশ^রী নদীর ভাঙ্গনের ফলে ২৫ হাজার একর জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। এবং চার হাজার কৃষক পরিবার ভ‚মিহীন ও গৃহহীন হয়েছে। নদী ভাঙ্গনের ফলে কৃষক শ্রেণি তাদের হারানো জমি পুনরুদ্ধারের সম্ভব হয় না এবং ক্ষতিপ‚রণ প্রাপ্তিতেও অক্ষম। এ কারণে ভ‚মিহীন ও অর্থহীন জনসাধারণ পুনরায় বাঁচার জন্য
পার্শ্ববর্তী শহরে অভিগমন করে। এরা ভাসমান জনসাধারণ হিসেবে বিবেচিত হন এবং এদের নির্দিষ্ট কোন কাজ বা চাকরি থাকে না এবং সামাজিক মর্যাদাও থাকে না ।
মানিকগঞ্জ জেলায় পদ্মা ও যমুনা নদী নিত্য ক্রিয়াশীল। নদীর দুটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সর্পিল এবং চর উৎপাদনকারী নদী। ফলে নদী দুটি জেলায় চর এলাকা গঠনে বিশেষ ভ‚মিকা রাখছে । কিন্তু জেগে উঠার চর কৃষি জমি হিসেবে রূপান্তরের আগেই আবার ভাঙ্গনের শিকার হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় জেগে ওঠা চরে প্রতিবছর কৃষি কাজ সম্ভব হলেও পরের বছর হঠাৎ ব্যাপক বালুর আবরণ পড়ে কৃষিহীন বালুচরে পরিণত হয়।
মানিকগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কৃষকরা অতি মুনাফা লোভের আশায় ব্যাপকভাবে তামাকের চাষ করছেন। তামাক চাষে কৃষি জমির প্রত্যক্ষভাবে হ্রাস না পেলেও দীর্ঘমেয়াদী উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। তামাক গাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে বিষাক্ত পদার্থ বের হয় যা পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে। তামাক চাষে প্রচুর সার ও কীটনাশক ব্যবহৃত হয় যা মাটি ও পানি দ‚ষণ করে এবং মাছ, উদ্ভিদের মারাত্মক ক্ষতি করে এবং খাদ্য চক্রের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। সুতরাং তামাক চাষ বন্ধ হওয়া জরুরী। তামাক চাষের ফলে জমির উর্বরতা শক্তি মারাত্মকভাবে কমে যায় এবং একই জমিতে কয়েক বছর তামাক চাষ করলে বিশেষ ধরনের আগাছা জন্মে। সেই জমিতে অন্য ফসল ফলানো সম্ভব হয় না এবং পরিত্যক্ত জমি হিসেবে পরিগণিত হয়।
কৃষি জমি সুরক্ষায় আমাদের করণীয়: ১.কৃষি জমি সুরক্ষার জন্য ন্যাশনাল ল্যান্ড জনিং প্রকল্পের মাধ্যমে ভ‚মির শ্রেণী অনুসারে জোনিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছ। এ প্রকল্পের আওতায় জেলার ভ‚মির শ্রেণী অনুসারে জোনিং কার্যক্রম সমাপ্ত করা এবং ভ‚মি শ্রেণি অনুযায়ী ভ‚মির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা। ২.কৃষি ভ‚মি সুরক্ষা ও ভ‚মি ব্যবহার সংক্রান্ত আইনে বলা হয়েছে কৃষি জমে নষ্ট করে যত্রতত্র ঘর, শিল্প কারখানা এবং অন্যান্য অকৃষি স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। তবে অপরিহার্য ক্ষেত্রে বসতবাড়ি নির্মাণ করতে হলে আইনের বিধান অনুযায়ী ভ‚মির জোনিং মানচিত্র অনুসরণ করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে তা করতে পারবেন। অতি দ্রæত এর বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
৩.জেলার পদ্মা ও যমুনা নদীর ভাঙ্গন কবলিত অংশে জেগে উঠা চর আর কৃষি জমি হিসেবে রূপান্তরের আগেই পুনরায় ভেঙে বিলীন হয়ে যায়। এক্ষেত্রে স্থানীয় লোকদের লোকাল ইন্ডিজিনিয়াস নলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং নলেজ এর সমন্বয়ে হলিস্টিক এপ্রোচের(ঐড়ষরংঃরপ অঢ়ঢ়ৎড়ধপয) মাধ্যমে গৃহীত পদক্ষেপ এর মাধ্যমে পুনঃভাঙ্গন রোধ করে চরের স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করে কৃষি ভ‚মি পুনরুদ্ধার করা যায়।৪.ভবিষ্যতে কৃষির জমির সুরক্ষায় এখনই স্থানীয় পর্যায়ে বাস্তবতার নিরিখে ভ‚মি ব্যবহার ও প্রায়োগিক নীতিমালা প্রয়োজন। ৫.জেলা প্রকৃত কৃষি ভ‚মির পরিমাণ, আবাদী,অনাবাদি, পরিত্যাক্ত ডোবা, মাটিয়াল, জলাধার, ঝোপঝাড়, বনভ‚মি, বন্যা কবলিত, বন্যা মুক্ত, নদী ভাঙন এলাকা, চর এলাকা, উঁচু নিচু ইত্যাদি শ্রেণীভুক্ত করে ডাটাবেজ ও মানচিত্র তৈরি করা। আধুনিক এওঝ (এবড়মৎধঢ়যরপধষ ওহভড়ৎসধঃরড়হ ঝুংঃবস) প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
পরিশেষে আমরা বলতে চাই,বাংলাদেশে প্রতিবছর শতকরা ১ ভাগ কৃষিজমি কমে যাচ্ছে। এ কারণে দেশটি ভূমি থেকো দেশ (খধহফ ঐঁহমৎু ঈড়ঁহঃৎু) হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। আমাদের বর্তমান সমীক্ষা জেলাটি কৃষি জমি হ্রাসের হার আরও বেশি অধিক। রাজধানী ঢাকার পাশে অবস্থিত হওয়ায় বর্তমান সময়ে নগরায়নের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির ( ঘধঃঁৎধষ এৎড়ঃিয) হারও বেশি। তাছাড়া উচ্চহারে দ্রæত কৃষিজমি হারিয়ে যাওয়ার আরও একটি কারণ হচ্ছে ব্যাপক নদীভাঙ্গন। জনসংখ্যার বৃদ্ধির ফলে অপরিকল্পিতভাবে নতুন নতুন ঘরবাড়ি ও বসতি স্থাপন, ইট ভাটা ও শিল্প কারখানা নির্মাণ, রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো তৈরি ও বাণিজ্যিক কাজে নির্বিচারে কৃষিজমি গ্রাস হয়ে যাচ্ছে তাতে অচিরেই কৃষির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কোন সন্দেহ নেই। উর্বর প্লাবন সমভূমি সমৃদ্ধ শস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত জেলা দেশের জাতীয খাদ্য উৎপাদনে ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হবে। আসলে সারাদেশের ন্যায় জেলার কৃষিজমি রক্ষা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলতঃ আমাদের কৃষিজমিসহ অন্যান্য ভূমির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে অনেকই আগেই থেকেই জাতীয় ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা ও নীতিমালার প্রয়োজন ছিল। অনেক বিলম্বে হলেও সকলে কৃষিজমির হ্রাসের অপরিনামদর্শী কর্মকান্ড ও ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে পেরেছি সেটি কিছুটা হলেও স্বস্তির বিষয়। তাই ব্যক্তি পর্যায় থেকে সমষ্টিগত পর্যায়; স্থানীয পর্যায় থেকে জাতীয় পর্যায় এবং সরকারি, বেসরকারি ও এনজিও সকল নিয়ামক শক্তি কৃষিজমি গ্রাস ও হ্রাস রোধসহ কৃষিতে বৈশি^ক জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় যথাযথ কার্যকরী ভূমিকা রাখতেই হবে।