sliderগণমাধ্যমশিরোনাম

মহাসমাবেশের হামলায় গুরুতর আহত সাংবাদিক অমর ও রাজু

বিএনপির মহাসমাবেশের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশ ও নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় গুরুতর আহত হয়েছেন দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার ও ডিইউজের সাবেক দফতর সম্পাদক ডি এম আমিরুল ইসলাম অমর এবং দৈনিক আমাদের কণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার ও ডিইউজের বর্তমান নির্বাহী সদস্য রাজু আহমেদ।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর ফকিরাপুলের কালভার্ট রোডে হামলার শিকার হন সাংবাদিক ডি এম অমর। অন্যদিকে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দৈনিক বাংলা মোড়ে হামলার শিকার হন সাংবাদিক রাজু আহমেদ।

জানা যায়, ডি এম অমর শুরুতে বিএনপির মহাসমাবেশের মঞ্চের সামনে ট্রাক দিয়ে সাংবাদিকদের জন্য করা স্থানে ছিল। পুলিশের হামলা মঞ্চের দিকে এলে তিনিসহ আরো কয়েকজন ফকিরাপুলের কালভার্ট রোড হয়ে প্রেস ক্লাবের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়, তখন হঠাৎ পুলিশের গুলি ও টিয়ারশেল শুরু হয়, তখন পুলিশের দিকে লক্ষ্য করে বিএনপির নেতাকর্মীরা ইট পাটকেল মারতে শুরু করে। তখন ডি এম অমরসহ কয়েকজনের ওপর টিয়ারশেল গ্যাস বিস্ফোরিত হয় এবং ইটের আঘাতে আহত হয়। তখন ডি এম অমরের নাক-মুখ দিয়ে গ্যাস ঢুকে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। জ্ঞান ফেরার পর বমি করতে থাকে। বাঁচার জন্য একজন ডি এম অমরকে নিয়ে বাথরুমে ঢুকে যান। গ্যাস ও ইটের আঘাতে ও পুলিশের হামলায় মাথা, নাকসহ কয়েক জায়গায় প্রচণ্ড ব্যথা পায়। এছাড়া তিনি হামলার সময় প্রায় ১৫ থেকে ২০ জনের নিচে পড়ে যায়। বাথরুমে সাংবাদিক অমরসহ আটকা ছিল ১০ জন। বাথরুমেও হামলা করেছিল, তবে বাথরুম ভাঙতে পারেনি। অবশেষে দেড় ঘণ্টা বাথরুমে থাকার পর কয়েকজন সাংবাদিক ভাইয়ের সহযোগিতায় সাংবাদিক বেলায়েত মোটরসাইকেল নিয়ে এসে অমরকে উদ্ধার করে প্রেস ক্লাবে নিয়ে যান। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে প্রেস ক্লাব থেকে আল আমিন অমরকে বাসায় পৌঁছিয়ে দেন।

অন্যদিকে, বিএনপির মহাসমাবেশের সংবাদ সংগ্রহ শেষে মতিঝিল ইবরাহিম চেম্বারের অবস্থানরত দৈনিক আমাদের কণ্ঠের অফিসে ফেরার সময় বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দৈনিক বাংলা মোড়ে পুলিশের হামলার শিকার হন সাংবাদিক রাজু আহমেদ। পুলিশের টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপে ওইস্থানে উপস্থিত সবাই এলোপাথাড়ি দৌড়ানোর সময় ২০ থেকে ২৫ জন্য পুলিশ তাকে লাঠিপেটা করে চোয়ালের হার এবং হাত ভেঙে দেয়াসহ পিঠে আঘাত করে। খবর পেয়ে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সদস্য মতিউর রহমান তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপালে নিয়ে যান।

আহত রাজু আহমেদ জানান, ‘অফিসে ফেরার সময় পুলিশ এভাবে হামলা করবে আমি কল্পনাও করতে পারিনি। আমি বারবার তাদের বলেছি, আমি সাংবাদিক, সংবাদ সংগ্রহ করে অফিসে ফিরছি। তারা আমার বলার পরেও এবং আইডি কার্ড দেখার পরেও আমাকে মেরে আমার চোয়াল, হাত ভেঙে দিয়েছে, পিঠেও অনেকগুলো আঘাত করেছে। আল্লাহ্‌ রহমত না থাকলে আজ আমি মারা যেতাম।’

হামলার বিষয়ে ডি এম অমরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আল্লাহ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছে। যে অবস্থার সম্মুখিন হয়েছিলাম বাঁচার কথা ছিল না। আল্লাহ রক্ষা করেছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button