sliderধর্মশিরোনাম

‘মসজিদুল আকসার মতোই বায়তুল মোকাররম নির্বিঘ্নে প্রবেশ করতে দেয়নি আ’লীগ’

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, ‘মসজিদুল আকসার মতোই বায়তুল মোকাররমে মুসলমানদের নিবিঘ্নে প্রবেশ করতে দেয়নি আওয়ামী লীগ। স্বাধীন দেশের একজন মুসলমান নাগরিক বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদে স্বাধীনভাবে নির্বিঘ্নে প্রবেশ করতে পারেনি, করতে দেয়া হয়নি।’

রোববার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় আর্কাইভ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত তুফান আল আকসার বর্ষপূর্তি উদযাপন ও সংহতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘বহু সাধারণ মানুষকে মসজিদে প্রবেশের সময় এবং মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় আটক করে নিয়ে জঙ্গি সাজিয়ে মামলা দিয়ে জুলুম নির্যাতন চালিয়েছে। মানুষ ভয়ে মসজিদ আসতে পারেনি। মসজিদে মুসল্লির চেয়ে মসজিদের চারপাশে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসিদের সংখ্যা বেশি ছিল। যেমনিভাবে ইসরাইলি বাহিনী মসজিদুল আল আকসা ঘিরে রাখে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ফিলিস্তিন বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অংশ নয়, ফিলিস্তিন আমাদের অস্তিত্ব। ফিলিস্তিনিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষা করা কঠিন। আগে ফিলিস্তিনের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। ফিলিস্তিনে আল আকসা ইসলামী বিশ্বের জাতিসঙ্ঘ হবে।’

ফিলিস্তিনের বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ইসলামের বিজয়ের পতাকা উড়বে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি শিশুদের হত্যা করছে দখলদার ইসরাইল আর মায়ের কোলে বাংলাদেশের শিশুদের হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগের পরিচালিত গণহত্যা, ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলার বর্হিপ্রকাশ। যদি ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর দখলদার ইসরাইলের হামলার বিচার হতো এবং হয়, তাহলে পৃথিবীর ইতিহাসে এমন বর্বরোচিত হামলার ঘটনা আর কেউ ঘটাতে সাহস পাবে না।’

ড. মাসুদ যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ে আওয়ামী লীগের উল্লাসের প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমেরিকা কাউকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেয় না, দেবে না। জনগণের ইচ্ছায় সরকার গঠন হয়। আবার জনগণই ফ্যাসিবাদ কায়েমকারীদের ক্ষমতাচ্যুত করে।’

তিনি গুলিস্থানের জিরো পয়েন্ট দখল দিতে শেখ হাসিনার নিদের্শ পালন করতে আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বলেন, ‘বিদেশে বসে কর্মীদের লেলিয়ে না দিয়ে সৎ সাহস থাকলে রাজনীতির মাঠে এসে নেতৃত্ব দিন।’

বায়তুল মাকসিদ ফাউন্ডেশনের সভাপতি আকিব আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংহতি সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সদস্য কবি আবদুল হাই শিকদার, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ এবং বিশিষ্ট লেখক গবেষক ও আলেম মাওলানা সাইমুম সাদী।

আরো আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সহকারী সদস্য সচিব ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় গবেষণা সম্পাদক শেখ ফজলুল করিম মারুফ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল বশর আজিজী এবং ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ রায়হান আলী।

এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ-এর আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সমাজের ছাত্র কল্যাণ সম্পাদক কাজী মাযহারুল ইসলাম, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আহমেদ ইসহাক এবং বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Related Articles

Leave a Reply

Back to top button