মনপুরা উপজেলার হাজির হাট ইউনিয়নের চরযতিন গ্রামের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মো. মনিরুল ইসলাম বাড়ির রাস্তার পাশের পুকুর পাড় থেকে রবিবার সকাল ৯টার সময় স্থানীয় লোকজন ছুটে আসা একটি মায়াবী হরিণ আটক করে। অপর দিকে, একই দিনে খালেক বেপারীর বাড়ির রাস্তার উপর থেকে স্থানীয়রা আরেকটি হরিণ আটক করে। পরে বনবিভাগের লোকজনকে খবর দিলে বনপ্রহরীরা ঘটনাস্থল এসে আটক হরিণ দুইটি উদ্ধার করে জংলারখাল সংলগ্ন জামসেদ চরে সকাল ১০টায় ছেড়ে দেন।
প্রায় প্রতিদিন লোকালয়ে ছুটে আসছে মায়াবী হরিণ। মিঠা পানির খোঁজে চরাঞ্চল থেকে এসব হরিণ ছুটে আসছে। চরাঞ্চলে হরিণের জন্য মিঠা পানির কোনো ব্যাবস্থা নেই। মেঘনায় এখন লবনাক্ত পানি। প্রচন্ড গরমে মিঠা পানির খোঁজে লোকালয়ে ছুটে আসছে হরিণ।
বনপ্রহরীরা জানান, মেঘনায় লোনা পানি থাকায় প্রায় প্রতিদিন হরিণগুলো বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে চর মেঘনা সাতরিয়ে লোকালয়ে ছুটে আসছে।
হাজির হাট বিট অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা হরিণ আটকের খবর শুনামাত্রই বনপ্রহরী মো. ফারুক, মো. মাকসুদুর রহমান, মো. বাহাদুর, মো. পারভেজ ও অমল চন্দ্র দাসকে পাঠিয়েছি। আটক হরিণ দুইটি উদ্ধার করে জংলার খাল সংলগ্ন জামসেদ চরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
হরিণ লোকালয়ে ছুটে আসার ব্যাপারে রেঞ্জকর্মকতা বাবু সুকুমারশীল বলেন, বনে হরিণের জন্য কোনো মিঠা পানির ব্যাবস্থা নেই। গরম আবহাওয়ার কারণে লোকালয়ে হরিণ ছুটে আসছে। হরিণ ধরা পরার খবর আসলে দ্রুত ঘটনাস্থল গিয়ে হরিণ উদ্ধার করে বনে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। আমরা চরে গভীর পুকুর করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
ইত্তেফাক